বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২

চার মাস পর চালু হলো কাজিরহাট আরিচা নৌরুটে স্পিডবোট সার্ভিস

পাবনা প্রতিনিধি
  ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
চার মাস পর চালু হলো কাজিরহাট আরিচা নৌরুটে স্পিডবোট সার্ভিস
কাজিরহাট-আরিচা নৌরুটে বন্ধ থাকার চার মাসপর স্পিডবোট সার্ভিস উদ্বোধন করেন বিআইডবিস্নউটিএ পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন -যাযাদি

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বারখ্যাত পাবনার কাজিরহাট-আরিচা নৌরুটে বন্ধ থাকার চার মাস পর স্পিডবোট সার্ভিস চালু করা হয়েছে। স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ঘাটে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা।

শনিবার দুপুরে কাজীরহাট স্পিডবোট ঘাটে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে স্পিডবোট সার্ভিসের উদ্বোধন করেন বিআইডবিস্নউটিএ পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন। এ সময় তার সফরসঙ্গী ছিলেন আরিচা বন্দর পোর্ট অফিসার মামুনর রশিদ ও নগরবাড়ী নদীবন্দর পোর্ট অফিসার আব্দুল ওয়াকিল। উপস্থিত ছিলেন আরিচাঘাটের বোট মালিক ভজন দাস, নাসির উদ্দিন, কাজীরহাট ঘাটের বোট মালিক রইচ উদ্দিন, ফেরদৌস কবির, সমেজ হোসেন। এছাড়াও দুই পাড়ের বিআইডবিস্নউটিএ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনকালে পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্টের বিপস্নবের পর নৌ-রুটের দুই পাড়ের বোট মালিকরা লাপাত্তা হয়ে যায়। তাদের অনুপস্থিতির কারণে টানা চার মাস স্পিডবোট বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তিতে পড়েন দুই পাড়ের সাধারণ যাত্রীরা। যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে বিআইডবিস্নউটিএ উদ্যোগ গ্রহণ করে। লাপাত্তা হয়ে যাওয়া স্পিডবোট মালিকদের রুট পারমিট বাতিল করা হয়। নতুন করে রুট পারমিশন অনুমতির জন্য স্পিডবোট মালিকদের কাছ থেকে রুট পারমিটের জন্য আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। আগ্রহীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আবেদন যাচাই-বাছাই করে কাজীরহাট ঘাটের ৪৩টি ও আরিচাঘাটের ১২টি স্পিডবোট চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাপ্তরিক ও আইনগত বাধা দূর করে বাকি স্পিডবোট চলাচলের অনুমতি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, অতিরিক্ত যাত্রী বহনসহ নানা বিধিবিধান মেনে স্পিডবোট পরিচালনা করার জন্য মালিক ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান পরিচালক আরিফ উদ্দিন।

যাত্রী আল আমিন জানান, কাজিরহাট-আরিচা নৌরুটে দূরত্ব কম। দ্রম্নত ঢাকায় যাওয়া-আসা যায়। আর স্পিডবোটে দেখা যায় ২০-২৫ মিনিট সময় লাগে। অথচ ফেরি বা লঞ্চে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা। এই দুর্ভোগ লাঘবে স্পিডবোট সুবিধা হয়।

কাজিরহাট ঘাটের স্পিডবোট ব্যবসায়ী ফেরদৌস হোসেন ও আব্দুল বাতেন বলেন, 'বিগত সরকারের সময় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ নেতারা অবৈধভাবে স্পিডবোট ঘাট পরিচালনা করেছে। যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বেশি নিয়েছে। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে জনবান্ধব স্পিডবোট চালু করে যাত্রীদের ভালো সার্ভিস দিতে চাই।'

বিআইডাবিস্নউটিএ'র নগরবাড়ী-কাজিরহাট-নরাদহ নদীবন্দরের পোর্ট অফিসার আব্দুল ওয়াকিল বলেন, 'আমরা স্পিডবোট মালিক সমিতির সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি। কিন্তু তারা লাপাত্তা হওয়ায় চালু করা যায়নি। অবশেষে অফিসিয়াল সিস্টেম সম্পন্ন করে নতুনভাবে অনুমোদন সাপেক্ষে স্পিডবোট সার্ভিস চালু করা হলো। আগের সময়ের সব স্পিডবোট অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে