ডেঙ্গু ও কিউলেক্স থেকে জনগণকে বাঁচাতে মশা নিয়ন্ত্রণে 'জিরো টলারেন্স' ঘোষণা করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। প্রয়োজনে মশা নিয়ন্ত্রণে নতুন ওষুধ ও কৌশল খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
রোববার নগরের টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে পরিচ্ছন্ন বিভাগের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ শাখার সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিটি মেয়র এ নির্দেশ দেন।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, 'মশার ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। মশার ব্যাপারে যেভাবে হোক আমাদের একটা জায়গায় আসতে হবে। জনগণ যাতে উপকৃত হয়। জনগণ যাতে মশার কামড় খেয়ে হসপিটালে আসতে না হয় কিংবা মৃতু্যবরণ না করে কিংবা তারা কোন ডিস্টার্ব ফিল না করে।'
মেয়র ওয়ার্ড সুপারভাইজারদের উদ্দেশে বলেন, 'যে সমস্ত পরিচ্ছন্ন কর্মী মশার স্প্রে করার ক্ষেত্রে গাফিলতি করছে তাদের নামগুলো আমাকে দেন। তাদের অবশ্যই পানিশমেন্টের আওতায় আনব। যারা সুপারভাইজার আছেন তাদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই কেউ ফাঁকিবাজি করলে এটার দায়-দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে।'
মশা নিয়ন্ত্রণের ওষুধ সম্পর্কে মেয়র বলেন, মশার ওষুধের যাতে কোনোভাবেই ঘাটতি না পড়ে। বর্তমানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মশায় নিয়ন্ত্রণে যেসব ওষুধ ব্যবহার করছে তার মান যদি ভালো না হয় তাহলে আপনারা নতুন ওষুধের সন্ধান করুন।। মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে এমন মাছ, কীটপতঙ্গ ব্যবহার করা যেতে পারে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমাম হোসেন রানা, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী মারুফসহ পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী।