সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

গোলাঘাট হাওড়ে জলাবদ্ধতার কারণে অনিশ্চয়তায় হাজার একর জমির চাষ

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
গোলাঘাট হাওড়ে জলাবদ্ধতার কারণে অনিশ্চয়তায় হাজার একর জমির চাষ

পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে গোলাঘাট হাওড়ে। এতে করে অনিশ্চয়তায় পড়েছে গোলাঘাট হাওড়ে ১ হাজার একর বোরো জমির ধান চাষাবাদ। এ দিকে বোরো মৌসুম শুরু হলেও গোলাঘাট হাওড়ে কোনো জমিতে ধান রোপণ করতে না পেরে কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়ছেন।

সরজমিন উপজেলা গোলাঘাট হাওড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এখানো হাওড়ে প্রচুর পানি। পানি বের হওয়ার কোন পথ নেই। মাটিয়ান হাওড়ের আলম খালি বাধ দিয়ে গোলাঘাট হাওড়ের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ। কিন্তু চলতি বছর কাউকান্দি ও বড়দল গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানের আলমখালি বাঁধটি স্থায়ী হওয়ার কারণে বাধের খাল বা নালা দিয়ে গোলাঘাট হাওড়ের পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। এতে করেই স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে গোলাঘাট হাওড়ে। স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় কৃষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন জমি রোপণ করতে না পেরে।

কাউকান্দি গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, 'গোলাঘাট হাওড়ের পানি বের না হওয়ায় আমাদের জমি রোপণ করতে পারছি না। পানি বের হওয়ার একমাত্র পথ আলমখালি বাধ ও বাধের নালা। আমরা গত শনিবার হাওড় পারের বিভিন্ন গ্রামের একাধিক কৃষক বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।'

বড়দল পুরান হাটি গ্রামের কৃষক বশির আহমদে বলেন, 'গোলাঘাট হাওড় থেকে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ হলো আলমখালি বাধের নালা। চলতি বছর বাধটি স্থায়ী হওয়ার কারণে পানি বের হচ্ছে না। এতে করে হাওড়ের প্রায় ১ হাজার একর বোরো জমির ধান চাষাবাদ না করতে পারার আশংকা রয়েছে।

তাহিরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (বড়দল দক্ষিন ইউনিয়ন দায়িত্বরত) ফয়সাল আহমেদ বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই।

তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, 'আমি আপনার কাছে বিষয়টি শুনলাম। জলাবদ্ধতার কারনে উৎপাদন ব্যাহত হলে কৃষকদের ক্ষতি আমাদের ক্ষতি। বিষয়টি নিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করব।'

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম বলেন, 'আমার কাছে কৃষকরা এসেছিলেন, বিষয়টি আমি সরেজমিন গিয়ে দেখব কি করা যায়।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে