দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীর সুরক্ষা বস্নক ধ্বংসের মুখে। কয়েকমাস ধরে সারি সারি দেওয়া বস্নকের বৃহৎ একটি অংশ ধীরে ধীরে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে ওই এলাকার পুরো অংশের বস্নক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাঁধ পর্যন্ত ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে।
সরেজমিনে, গড়দুয়ারা নয়াহাট হালদা চত্ত্বর ঘুরে দেখা গেছে, হালদা চত্ত্বরের পূর্ব উত্তর পাশের সুরক্ষা সারি সারি বস্নকের পাঁচ সারির প্রায় শ খানিক বস্নক নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে যাওয়া বস্নকের অংশের মাটি দেখা যাচ্ছে না পানির স্রোতে সৃষ্টি হচ্ছে গভীরতার। পানির স্রোতে বাকি অনেকগুলো বস্নকও নড়বড়ে অবস্থা। যে কোন মুহূর্তে ধসে পড়ে বস্নকের বিশাল একটি অংশ। ঝুঁকিপূর্ণে পড়বে হালদা নদীর ওই পাড়। ঘুরতে আসা ফয়সাল নামে এক কিশোর বলেন, 'প্রায় সময়ে এখানে ঘুরতে আসি। বিকেলের হালদার মনোরম পরিবেশ ভালো লাগে। কয়েকমাস ধরে দেখছি বস্নকগুলো পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। দ্রম্নত ব্যবস্থা না নিলে এখানের সুন্দর পরিবেশটাই বিলুপ্ত হবে।'
ডিম সংগ্রহকারী হালদা পাড়ের বাসিন্দা মো. কামাল সওদাগর বলেন, 'কয়েকমাস ধরে এ অবস্থা। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগত করেছি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেও এখানে বস্নক নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। যায়যায়দিনে প্রতিবেদন প্রকাশের তিনদিন পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছিল। ঠিক একই অংশে ফের এ অবস্থা। দ্রম্নত সংস্কার না হলে পাড়টি রক্ষা সম্ভব হবে না।'
সত্যতা স্বীকার করে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী শাখা কর্মকর্তা বিমল দাশ খবরটি জানানোয় প্রতিবেদককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আজকেই লোক পাঠানো হবে এবং দ্রম্নত সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম মশিউজ্জামান যায়যায়দিনকে বলেন, 'বুধবার বিষয়টি শুনেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবগত করেছি। আশা করছি দ্রম্নত তারা ব্যবস্থা নেবেন।'