রোববার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
দাবি না মানলে ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা

কুমিলস্নার ৯ সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে লংমার্চ

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিলস্না
  ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
কুমিলস্নার ৯ সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে লংমার্চ

সাবেক কুমিলস্না-৯ (সদর দক্ষিণ) সংসদীয় আসন এলাকা পুনর্বহালসহ ১১ দফা দাবিতে 'ঐক্য সংহতি পরিষদ' ব্যানারে কুমিলস্না আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিলুপ্ত ওই সংসদীয় এলাকার যুক্তিখোলা বাজার হতে এ লংমার্চ কর্মসূচি শুরু হয়। এ কর্মসূচিতে সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলাসহ মহানগরের দক্ষিণাঞ্চলের নানা শ্রেণীপেশার প্রতিবাদী জনতার ঢল নামে।

পাঁচ শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে লংমার্চে নেতৃত্ব দেন প্রবীন রাজনীতিক, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি-হুইপ মনিরুল হক চৌধুরী। দুপুরে কুমিলস্না নগরীর ফৌজদারী মোড় এলাকায় প্রতিবাদী সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। এ সময় দাবিগুলো অবিলম্বে বাস্তবায়ন না হলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চসহ কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট নাজমুস সা'দাত, ড. শাহ মো. সেলিম, আখতার হুসাইন, আহসান হাবিব দুলাল, ওমর ফারুক চৌধুরী, আমান উলস্নাহ আমান, ইসমাইল হোসেন মজুমদার, ওমর ফারুক সুমন, আবুল বাশার, ইউসুফ আলী মীর পিন্টু, আমান উদ্দিন আহমেদ, সাহিদুর রহমান তামান্না প্রমুখ।

পরে কুমিলস্না জেলা প্রশাসক ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার নিকট স্মারকলিপি দাখিল করা হয়। এর আগে গত প্রায় ১৬ বছর ধরে ঐক্য সংহতি পরিষদের ব্যানারে পাঁচ লক্ষাধিক জনসংখ্যার বিলুপ্ত এ আসনটি পুনর্বহালের দাবিতে এলাকাবাসী বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৭৩ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সারা দেশের সংসদীয় আসনগুলো একইরূপে থাকলেও ২০০৮ সালে আঞ্চলিক অখন্ডতাভিত্তিক প্রশাসনিক সুবিধা বিবেচনায় না এনে সম্পূর্ণরুপে রাজনৈতিক কারণে হঠাৎ করে ব্যাপক রদবদল আনে তৎকালীন সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কুমিলস্নার এ আসন অক্ষুণ্ন রাখার জন্য কমিশনের এমন সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত ১৩টি মামলা হয়। কিন্তু কোনো আপত্তি বা মামলা আমলে নেয়নি তৎকালীন কমিশন। ২০০৮ সালে কুমিলস্না-৯ (সদর দক্ষিণ উপজেলা) আসন এলাকাটি ৩ ভাগে ভাগ করে ৩টি আসনের সঙ্গে যুক্ত করায় ৩ জন এমপির অধীনে চলে যায়। এতে এলাকার উন্নয়ন বৈষম্যসহ জনগণের ভোগান্তি মারাত্মক আকার ধারণ করে। তারা আসনটি পুনর্বহালের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানান।

বিলুপ্ত কুমিলস্না-৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, তৎকালীন নির্বাচন কমিশন সংসদীয় আসন সীমানা পুনর্নির্ধারণকালে নীতিমালা লঙঘন করে নীতিগর্হিতভাবে আসনটি বিলুপ্ত করেছে। আসনটিকে ৩টি আসনের সঙ্গে সংযুক্ত করায় একদিকে এলাকাটি অভিভাবকহীন হয়ে উন্নয়ন বঞ্চনার শিকার হয়েছে, অন্যদিকে প্রশাসনিক সুবিধা পেতে জনগণকে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিলুপ্ত কুমিলস্না-৯ আসনটিকে পুনঃবহাল করে নির্বাচন কমিশনসৃষ্ট উন্নয়ন বৈষম্য থেকে জনগণকে রক্ষা করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে