বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সিরাজগঞ্জে কৃষকদের আশা জাগাচ্ছে করলা

এইচএম মোকাদ্দেস, সিরাজগঞ্জ
  ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
সিরাজগঞ্জে কৃষকদের আশা জাগাচ্ছে করলা
সিরাজগঞ্জে কৃষকদের আশা জাগাচ্ছে করলা

আধুনিক প্রযুক্তি মালচিং পদ্ধতিতে ১০ শতক জমিতে উন্নত জাতের করলা চাষে সফলতার ছোয়া লেগেছে কৃষক রুহুল আমিনের। বাংলাদেশ চর এলাকার আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের অধিনে কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী পস্নটের মাধ্যমে মৌসুমী রবি ফসল করলা চাষে ভালো ফলন হওয়ায় আশানুরূপ আয় হচ্ছে তার।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের পাঁচঠাকুরী গ্রামের কৃষক রুহুল আমিন ১০ শতক জমিতে উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার সাইদুল ইসলামের তত্বাবধায়নে মালচিং পদ্ধতিতে করলা চাষ করেছেন।

1

তিনি বলেন, 'আমার নিজস্ব ১০ শতক জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে করলা চাষ করেছি। প্রথমে করলা বীজ রোপণের পর গাছ ধারনের জন্য বাঁশের জাংলা ও চারিদিকে নেটজাল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। সঠিক পরিচর্চায় জাংলা জুড়ে করলা গাছ ছড়িয়ে পড়েছে। করলা গাছের গ্রোথ বেশি হওয়ায় ফলনও বেশ ভালো হচ্ছে। জমিতে করলা চাষের জন্য হাল, নেট. বাঁশ, কীটনাশক ও শ্রমিক খরচ বাবদ আমার মোট খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা।

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে মালচিং পেপার, বীজ, ও সার বাবদ - মোট ১০হাজার টাকা অনুদান দিয়েছে। কৃষি অফিসের ১০ হাজার টাকাসহ আমার সর্বসাকুল্য খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা।'

তিনি আরও জানান, 'বাংলা কার্তিক মাসে প্রথম দিকে করলা বীজ রোপণ করা হয়। বীজ রোপণের ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে করলা বিক্রি শুরু করেছি। এ জমিতে ৩ মাস পর্যন্ত করলা উৎপাদন হবে। এ যাবত ৩০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করা হয়। চলতি মৌসুমে আরও ৩০ হাজার টাকার করলা বিক্রি হবার সম্ভবনা রয়েছে। অতিরিক্ত শীত ও ঘন কুয়াশায় কারনে করলার ফলন কমে যাবার সম্ভবনা রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ১০ শতক জমিতে লাগানো করলা গাছ থেকে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা উপার্জন করা যাবে। যা অন্যান্য ফসলের চেয়ে দ্বিগুন আয়।'

উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন - মালচিং পদ্ধতিতে রবি ফসলের জন্য মালচিং পেপার, বীজ ও সার বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। যাতে এ পদ্ধতিতে রবি ফসলে কৃষক লাভবান হতে পারে সেই সঙ্গে কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষে আগাছা মুক্ত গাছের গ্রোথ বেড়ে ফলন বেশী, স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে ফসলের গুনগত মান বৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ কম হয় সেই সঙ্গে পোকা মাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আ. জা. মু. আহসান শহীদ সরকার বলেন,মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ২৫ শতক জমি প্রদর্শনী পস্নট হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলায় ৩৪টি প্রদর্শনী পস্নট রয়েছে। এর মধ্যে সদরে রয়েছে ৫টি প্রদর্শনী পস্নট। মালচিং পদ্ধতিতে করলা, শসা, তরমুজ, টমেটো ও মরিচ চাষে ভালো ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। প্রতিটি প্রদর্শনী পস্নটে মালচিং পেপার, সার ও বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। যাতে ভালো ফলন পেতে মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষে কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে