তিন দফা দাবিতে বিডিআর সদস্যরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। রোববার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে চাকরিচু্যত বিডিআর সদস্যরা এ কমর্ংসূচি পালন করেন। আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিিিনধদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর জানান, মাদারীপুর প্রেস ক্লাবের সামনে রোববার বেলা ১১টার দিকে চাকরিচু্যত বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালসহ তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ জেলা শাখা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে চাকরিচু্যত বিডিআর সদস্য ও তার পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। এ সময় বিডিআর সদস্যরা জানান, তৎকালীন সরকার সংবিধান বহির্ভূত প্রজ্ঞাপন দিয়ে বিশেষ আদালতের মাধ্যমে পিলখানার ভেতরে এবং পিলখানার বাইরের ইউনিট সমূহের নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকরিচু্যত করে। তারা নিরাপদ সদস্যদের মুক্তি, তদন্ত কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও নির্বিঘ্নে কাজ করার স্বার্থে প্রজ্ঞাপনের ২/ঙ ধারা বাদ এবং সকল চাকরিচু্যত বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানান।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সদস্য আবুল হাসান, সিপাহী সহকারী আব্দুর রউফ তালুকদার, হাবিলদার সহকারী শাহ আলম খান প্রমুখ।

স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোনা জানান, নেত্রকোনায় রোববার সকাল ১১টা থেকে জেলা শহরের মোক্তারপাড়ায় পৌরসভার সামনের সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন চাকরিচু্যত বিডিআর সদস্য নেত্রকোনা জেলার সমন্বয়ক মাসুদ খান, আবু নাসের, নায়েব সুবেদার হাফিজুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু হাসনাত জনি, চাকরিচু্যত বিডিআর সদস্যের স্ত্রী লিমা আক্তার প্রমুখ।

মেহেরপুর প্রতিনিধি জানান, সকাল ১১টার দিকে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ ও মেহেরপুর জেলা ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্যরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। মানববন্ধনে বিডিআর কল্যাণ পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, সহকারী সমন্বয়ক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, চাকরিচু্যত বিডিআর সদস্য মোহাম্মদ নাহিদ, বিলস্নাল হোসেনসহ বিডিআর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জয়পুরহাট প্রতিনিধি জানান, জয়পুরহাটে বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের জিরো পয়েন্ট পাঁচুর মোড়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন জয়পুরহাট জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমিন ফকির, জয়পুরহাট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি হাসিবুল ইসলাম সানজিদ, বিডিআর নায়েব সুবেদার নুরুল ইসলাম, হাবিলদার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবেদ হোসেন ও বন্দি বিডিআর রেজাউল করিমের ছেলে নোমান।