কৃষকের কথা ভেবে সরকারি নীতিমালা অনুসরণের মধ্যদিয়ে দেশব্যাপী সার সরবরাহ শুরু করেছে যশোরের অভয়নগরে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নোয়াপাড়া গ্রম্নপ। ফলে বিপাকে পড়ে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে স্থানীয় একটি সার সিন্ডিকেট চক্র। বৈধ প্রতিনিধি ছাড়া সার উত্তোলন করা যাবে না বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভয়নগরে নওয়াপাড়া বাজারের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন উপজেলার ডিলারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের বরাদ্দের কাগজ কেনার চেষ্টা করছে। তারা একটি সিন্ডিকেট করে এক হাজার ৫০ টাকার সার এক হাজার ৪৫০ টাকায় বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে ওই চক্র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নোয়াপাড়া গ্রম্নপের বিরুদ্ধে কৌশলী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নোয়াপাড়া গ্রম্নপের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে ৮৩ হাজার ৭৫৫ মেট্রিক টন সার বরাদ্দ ছিল। ডিলার কর্তৃক উত্তোলন করা হয়েছে ৮৩ হাজার ৭২৫ মেট্রিক টন। একই বছরের ডিসেম্বর মাসে ৭২ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন সারের মধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে ৭১ হাজার ৪২৫ মেট্রিক টন। বাকি সার সরবরাহ চলমান রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এক লাখ ৩৭ হাজার ১৭৫ মেট্রিক টন সার বরাদ্দ হয়েছে। সরবরাহ চলমান রয়েছে।
নোয়াপাড়া গ্রম্নপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদুর রহমান লিটু বলেন, কৃষিমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সরকারি সার নীতিমালা অনুসরণ করে কাজ করা হচ্ছে। অভয়নগরে অসাধু সার সিন্ডিকেট ভাঙতে আমরা বদ্ধ পরিকর।
বিএডিসি খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক শরিফ সাইফুল আলম বলেন, সার আমদানি ও সরবরাহে নোয়াপাড়া গ্রম্নপের ভূমিকা প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ ফর্টিলাইজার এসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ জালাল হোসেন বলেন, সরকারি নীতিমালা ভঙ্গ করে সার সরবরাহ করা যাবে না। কোনো ডিলার যদি সময় মত সার উত্তোলন করতে না পারে সেক্ষেত্রে আমদানিকারক ওই সার অন্য ডিলারের নামে বরাদ্দ দিতে পারবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লভলী খাতুন বলেন, সার ডিলার নিয়োগ ও বিতরণ নীতিমালা ২০০৯ অনুযায়ী একজন ডিলার নিজে অথবা তার বৈধ প্রতিনিধি ছাড়া সার উত্তোলন করতে পারবেন না। বরাদ্দকৃত সার সরবরাহের ক্ষেত্রে কৃষি অফিসের কঠোর নজরদারী রয়েছে। প্রতিনিয়ত আমি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে খোঁজখবর রাখছি।