সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের কম্বল পলস্নী বলে খ্যাত মাউজবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলদাইড় বাজারে কম্বল তৈরিতে পা মেশিন, ফ্লাডলক মেশিন, পাওয়ার মেশিনের পাশাপাশি এবার নেটিং মেশিন সংযোজন হয়েছে। এর ফলে শিমুলদাইড় বাজারের কম্বল ব্যবসা আরও সমৃদ্ধ হয়েছে।
শিমুলদাইড় বাজার কেন্দ্রিক চলতি শীত মৌসুমে কম্বলের ক্রয়-বিক্রয় শতকোটি টাকা ছাড়বে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মনে করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়। তারা জানান, গত ১৯৮২ সালের দিকে স্থানীয় কয়েকজন মিলে ঢাকা থেকে গার্মেন্টসের টুকরো ঝুট কাপড় দিয়ে, পা মেশিনের সাহায্যে কম্বল তৈরি শুরু করেন। তাদের দেখাদেখি দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে শিমুলদাইড় বাজারসহ আশেপাশের গ্রামগুলোতে ১০ থেকে ১২ হাজার পা মেশিনে টুকরো কাপড় সেলাইদিয়ে কম্বল তৈরি শুরু হয়।
প্রতিজন শ্রমিক পা মেশিনে দিনে ২ থেকে ৩ পিস করে কম্বল তৈরি করতে পারতেন। দামে সস্তা ও শীত নিবারণের উপযোগি হওয়ায় এই কম্বলের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। এমনকি স্থানীয় চাহিদার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রাহকরা এই কম্বল ক্রয়ের জন্য আসতে শুরু করেন।
চাহিদার কথা মাথায় রেখে বছর দশেকের ব্যবধানে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পা মেশিন থেকে ফ্লাডলক মেশিন ও পাওয়ার মেশিনে কম্বল তৈরি শুরু করেন। সেই থেকে আজ অবধি ফ্লাডলক ও পাওয়ার মেশিনে কম্বল তৈরি হয়ে আসছে।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, একটি ফ্লাডলক মেশিনে দুইশ' থেকে আড়াইশ' কম্বল তৈরি হয়ে থাকে। শিমুল দাইড় বাজারে বর্তমানে দুই থেকে আড়াইশ' ফ্লাডলক মেশিন রয়েছে। অন্যদিকে পাওয়ার মেশিন আছে প্রায় ২৪ হাজারের মত। প্রতিটি পাওয়ার মেশিনে ৩ থেকে ৪টি করে কম্বল তৈরি হয়।
এর সঙ্গে নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে ৬টি নেটিং মেশিন। প্রতিটি নেটিং মেশিনে একশ' কেজি করে কম্বল তৈরির কাপড় উৎপাদন হচ্ছে।
শিমুলদাইড় বাজারের নেটিং মেশিনের মালিক মো. শরিফুল ইসলাম সোহেল জানান, 'নেটিং মেশিন আমাদের অজপাড়াগাঁয়ের জন্য অনেকটা সমস্য। কেননা মেশিনের ছোটখাট পেয়ারপারর্সের সমস্যা হলে মেশিন বন্ধ রাখতে হয়। তবে সমস্যার পাশাপাশি সুবিধা হল দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাওয়া অর্ডারগুলো দ্রম্নত সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে।