রাতের আঁধারে সারিয়াকান্দির বাঙ্গালী নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি মহল। আর এর ফলে আগামী বর্ষায় তীব্র ভাঙনের আশঙ্কা করছেন নদী তীরের বাসিন্দারা।
সারিয়াকান্দি বাঙ্গালী নদীর তীরে বাসিন্দারা বলছেন, বালুমহাল ছাড়া নদী থেকে বালু উত্তোলন অবৈধ। কয়েকদিন থেকে রাতের আধারে সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে সোনারপাড়ায় ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু কাটা হচ্ছে।
তাদের অভিযোগ, রাতে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হলেও দিনে তাদের দেখা যায় না। দিনের বেলা ড্রেজার বন্ধ রাখে। ফলে দিনে নদীতে গেলে ড্রেজার ও পাইপ দেখা গেলেও পাওয়া যায় না ড্রেজারের কোনো মালিককে। এভাবে বালু উত্তোলন করা হলে বর্ষা আসার সঙ্গে সঙ্গে তীরে ভাঙন শুরু হবে।
সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বাসিন্দা বলেন, বছরের পর বছর নদী ভাঙনে সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের একটি অংশ আজ বিলীন হয়ে গেছে। কত মানুষ নিঃস্ব হয়েছে, তারও হিসাব নেই। কিছুদিন আগের এই পাড়ার শেষ মাথায় নদীর পাড় বস্নক দিয়ে বেঁধে দিয়ে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি রক্ষা করা হয়।
তিনি বলেন, বালু উত্তোলনের কারণে বাড়ি-ঘর আবাদের জমি-জমা নদীতে বিলীন হওয়ার উপক্রম হলেও যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের স্থানীয়রা কিছুই বলতে পারেন না। শুধুমাত্র তাদের প্রভাবের ভয়ে সবাই দেখেও না দেখার ভান ধরে থাকে। শুধু প্রশাসনই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ওয়ার্ডের এক নারী বাসিন্দা বলেন, নদী-ভাঙনের ভয়ে আতন্েক থাকি। রাতে যখন ড্রেজার চলার শব্দ হয়, তখন নিজের মনকে বোঝানো ছাড়া প্রতিবাদের উপায় থাকে না। শুনেছি বাবু নামের একজন এই ড্রেজার বসাছে। আমি অবশয় তাকে চিনিনা। যাই বসাক প্রশাসন যদি কঠোর হয়, তাহলে এদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহারিয়ার রহমান বলেন, এ ব্যাপারে আমি খোঁজ খবর নিয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেব।