কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কনে বাড়িতে বর সেজে হাজির হলো ২০ যুবক। গত শুক্রবার বিকেলে এমন অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে ভৈরব উপজেলার গোছামারা গ্রামে।
এমন ব্যতিক্রমী বিয়ের ঘটনায় বর দেখতে বিয়ে বাড়িতে হাজির হয় এলাকার শতশত উৎসুক শিশু কিশোর ও নারীপুরুষ। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলে। বরযাত্রীদের মধ্যে শেরওয়ানী পড়ে বিয়ে বাড়ির গেইটে ২০বর হাজির হওয়ায় কে আসল বর, সেটি না বুঝেই গেট আটকাতেই বিপাকে পড়ে কনে পক্ষ।
জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদরের কাজী পাড়া ভৈরব শহরের বঙ্গবন্ধু সরনির বিসমিলস্নাহ টাওয়ারের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের এ্যাসিস্টেন্ট পিআর আল আমিন মাহমুদ শিপনের ছেলে ছাব্বির হোসেন সজীবের সঙ্গে উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের গোছামারা গ্রামের শাহ আলম মিয়ার মেয়ে জ্যোতি আক্তার স্বর্ণার বিয়ে ঠিক হয় পারিবারিকভাবে।
বিয়েতে শুক্রবার বিকেলে প্রাইভেটকার ও মোটর সাইকেলে শেরওয়ানি আর পাগড়ি পড়ে একসঙ্গে ২০ জন বর হাজির হয় কনের বাড়িতে। এক বরযাত্রীতে এত বর দেখে অবাক কনে বাড়ির লোকজনসহ আগত অতিথিরা। ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতায় বিয়ের আয়োজনে সামিলদের আনন্দের মাত্রা ছিল বহুগুণ। ২০ বরের উপস্থিতি ঘিরে দিনভর উলস্নাসিত বিয়েবাড়ি। বর ছাব্বির হোসেন সজীব বলেন, তার বিয়েতে বন্ধুরা মিলে বরযাত্রী হিসেবে ২০জন বর সেজে যান। এতে বিয়ের আনন্দটা অনেক বেড়ে যায়। কনে জ্যোতি আক্তার স্বর্ণা বলেন, তিনি শুনেছেন তার বরের সঙ্গে বিশজন বর সেজে এসেছেন। ব্যতিক্রমী এ বরযাত্রার কথা শুনে ভালো লাগছে।
বরের বন্ধু আলআমিন বলেন, 'জীবনে অনেক বরযাত্রী গেছি, আজকে বন্ধু বিয়েতে আমাদের বন্ধু ব্যতীত আমরা আরও ২০ জন বর সেজে এসেছি। ভীষণ ভালো লাগছে।'
বরের ছোটভাই জানান, তার বাবা ও পরিবারের ইচ্ছে ছিল বড় ভাই সজীবের বিয়েতে ২০জন বড় সেজে যাবে। এই বিয়েটাকে স্মরণীয় রাখার জন্যই এই আয়োজন।
বরের বাবা আল আমিন মাহমুদ শিপন বলেন, 'বিয়ের অনুষ্ঠানে মানুষ বিভিন্নভাবে আনন্দ নিয়ে থাকে। আমার ইচ্ছে ছিল আমার ছেলের বিয়েতে একটু ব্যতিক্রমভাবে আনন্দ দেওয়া। তাই এ আয়োজন করেছি।'
কনের দাদা বলেন, সত্যিই আয়োজনটা ব্যতিক্রম ছিল। বিষয়টি উপভোগ্য। একটা মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল। এত বর থেকে আসল বর কে তা কনেই বেছে নেবেন। তিনি তার নাতনি ও নানতি জামাইয়ের জন্য দোয়া চান।