শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২
১ মাস পরেই সম্পন্ন হচ্ছে নতুন চেঙ্খালি স্স্নুইটগেট নির্মাণ

আবারও শুরু হবে চাষাবাদ নিরসন হবে জলাবদ্ধতা

মো. বোরহান উদ্দিন, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম)
  ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
আবারও শুরু হবে চাষাবাদ নিরসন হবে জলাবদ্ধতা
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে নির্মাণাধীন হালদা নদীর চেঙ্খালি খালের নতুন স্স্নুইটগেট -যাযাদি

চলতি বছরের মার্চ মাসেই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড অংকুরীঘোনা সড়কস্থ হালদা নদীর চেঙ্খালি খালের নতুন স্স্নুইটগেট। ২২ সালের ফেব্রম্নয়ারী মাসে পুরাতন স্স্নুইসগেইট ধসে পড়লে দুই বছর পর পুরাতন স্স্নুইচগেটের পশ্চিম পাশেই নতুন স্স্নুইচগেটের কাজ আরম্ভ হয়। তবে কাজের মেয়াদ দুই বছর এবং ফান্ড না পেলেও এক বছর এক মাসের মাথায় কাজ বুঝিয়ে দিতে পারবেন বলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে।

রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, স্স্নুইচগেটের কাজ ৮০ শতাংশের বেশি সম্পন্ন হয়ে গেছে। শ্রমিকরা মনযোগ দিয়ে কাজ করছেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স খাজা গরিবে নেওয়াজ এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী শিমুলের নির্দেশনায় সময়ের আগেই কাজ বুঝিয়ে দিতে হবে। দেখভাল করা মো. সেলিম জানান, ঠিকাদারের বাড়িও খাল সংলগ্ন। বিশেষ করে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে দ্রম্নততম সময়ে কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেন তিনি। গড়দুয়ারা ইউনিয়ন ও রাউজান উপজেলার গহিরা বড়ুয়া পাড়ার মধ্যবর্তী স্থানে হালদা নদীর বেড়িবাঁধের চেঙ্খালি স্স্নুইসগেট ধসে পড়ায় গড়দুয়ারা-অংকুরীঘোনা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে চলাচলকারী শত শত শিক্ষার্থী, কৃষক, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ শিকার হন চরম দুর্ভোগের।একইসাথে হালদা নদীর পানি নিয়ন্ত্রণকারী স্স্নুইচগেট ধসে পড়ায় গড়দুয়ারা, মেখলসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার একর চাষের জমি পস্নাবিত হয়। প্রতিনিয়ত জোয়ার-ভাটার পানি ডুকে পড়ায় বন্ধ হয়ে যায় ক্ষেত-খামারসহ ধান চাষ। বেকার হয়ে পড়ে হাজার হাজার কৃষক। জমিন পস্নাবিত হওয়ায় চাষাবাদ বন্ধের কারণে চাল ও তরি-তরকারি কিনে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। অনেকে চাষাবাদ ছেড়ে অটোরিকশা চালিয়ে কেউবা দিনমজুরি করে সংসার চালাতে বাধ্য হন। দীর্ঘ তিনবছরের বেশি সময়ের পর স্স্নুইচগেট নির্মিত হওয়ায় কৃষকরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।

নব নির্মিত স্স্নুইচগেট লাগোয়া জমির মালিক ডা. শমসুর ছোট ভাই চাষি মো. বাবুল জমির ঘাস নিংড়াতে নিংড়াতে বলেন, তিন কানির মত চাষযোগ্য জমিন আছে। স্স্নুইচগেটটি সম্পন্ন হলেই আবার চাষাবাদ শুরু হবে। মেখল কাজি বাড়ির সত্তোরোর্ধ মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, বাড়ির আশেপাশের শত শত একর জমি জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। কারো জমিন হালদার পানিতে তলিয়ে গেছে আর কারো জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। তিন বছর যাবৎ উচ্চমূল্যে চাল কিনে খাচ্ছি। জীবনে কখনো চাল কিনতে হয়নি। ঠিকাদার শিমুল বলেন, কি করব একেতো নিজের এলাকা তার উপর এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ। ২২ কোটি টাকার বরাদ্দ হলেও দুই ধাপে মাত্র সাড়ে ৫ কোটি টাকা পেয়েছি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ফান্ডে টাকা নাই।

জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী শাখা কর্মকর্তা বিমল দাশ জানান, আশা করছি আগামি মার্চে কাজ সম্পন্ন করা যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে