গাজীপুরের কোনাবাড়ির আমবাগ এলাকায় এক অগ্নিকান্ডে ১০ ঝুট গুদাম এবং তিনটি দোকান ও মালামাল পুড়ে গেছে। স্থানীয় ফায়ার স্টেশনের চার ইউনিটের কর্মীরা প্রায় চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
গত বুধবার রাত ৯টা ৪৩ মিনিট আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। রাত সাড়ে ১১টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন। রাত সাড়ে ৯টায় সংঘটিত আগুন দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণ করেছে দমকলের কর্মীরা। আগুনে ১০টি ঝুট গুদাম ও তিনটি দোকান ঘর পুড়েছে বলে তিনি জানান।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন আরও জানান, অগ্নিকান্ডের খবরে প্রথমে কোনাবাড়ি মডার্ণ ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে। পরে আগুনের পরিমাণ বাড়তে থাকায় ভোগড়া মডার্ণ ফায়ার সার্ভিসের আরও দুইটি ইউনিট যোগ দেয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে। দুই ঘন্টার আগুনে ১০টি ঝুট গুদাম ও তিনটি দোকান ঘর পুড়েছে।
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি জানান, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের জোড়াপাম্প এলাকায় গত বুধবার বিকালে তাইজুদ্দিনের একটি ভাড়া কক্ষে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইটি বাড়ির ২০টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীর ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, বিকেলের দিকে তাইজুদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া রতন মিয়ার কক্ষে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে পাশের বাড়ির রফিকুল ইসলামের বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসময় প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের খবর দেন। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় দুইটি বাড়ির পোশাক তৈরির কারখানার শ্রমিকদের ভাড়া আবাসিক কক্ষে থাকা আসবাবপত্র, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী, কাপড়চোপরসহ মালামাল পুড়ে যায়। এ ঘটনায় হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের দাবি ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ২০ লাখ টাকা হবে।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার ইন্সপেক্টর (ইনচার্জ) ইফতেখার হাসান রায়হান চৌধুরী বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।