বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
একান্ত সাক্ষাৎকার

দুর্যোগে দেশবাসীর আরও নিরলস সেবা করতে চাই

দুর্যোগ ও দুর্ঘটনায় জীবন এবং সম্পদ রক্ষার মাধ্যমে দেশকে শতভাগ নিরাপদ রাখতে কাজ করছে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে অগ্নিকান্ডসহ নানা দুর্ঘটনায় উন্নত সেবা নিশ্চিতে অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামাদি সংগ্রহ অব্যাহত রেখেছে। অধিদপ্তরের বর্তমান সাফল্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন-স্টাফ রিপোর্টার গাফফার খান চৌধুরী
নতুনধারা
  ২৫ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০
আপডেট  : ২৫ নভেম্বর ২০২১, ০৯:৩৬
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন মহাপরিচালক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর

যায়যায়দিন : উন্নত বাংলাদেশে কেমন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর গড়ে তুলতে চান? সাজ্জাদ হোসাইন:দেশ ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন করছে। আমরাও চাই বিশ্বের উন্নত দেশের মতো আমাদের প্রতিষ্ঠান উন্নত সেবা দেবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে এশিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। এক কথায় যদি বলি, তাহলে দুর্যোগ ও দুর্ঘটনায় জীবন এবং সম্পদ রক্ষার মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশকে শতভাগ নিরাপদ করতে চাই। যাযাদি : এমন লক্ষ্য অর্জনে আপনারা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন? সাজ্জাদ হোসাইন:আমাদের কথা বলার আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী পদক্ষেপের কথা বলতেই হবে। তিনিই মূলত এমন স্বপ্ন দেখিয়েছেন। এমনকি বঙ্গবন্ধুর ডাকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। ফায়ার সার্ভিসের ৩২ জন শহীদ হন। যাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ফুটবল খেলোয়াড় শহীদ অগ্নিসেনা চান্দুর নামে বগুড়ায় গড়ে তোলা হয় শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন দেশ পুনর্গঠনের কর্মসূচিতে ফায়ার সার্ভিসকে অন্তর্ভুক্ত করেন। ওই সময় তিনি এর নাম দিয়েছিলেন ফায়ার সার্ভিস পরিদপ্তর। বর্তমানে এটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর নামে পরিচিত। লক্ষ্য অর্জনে আমরা উন্নত সেবা প্রদানের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করেছি এবং যা অব্যাহত আছে। যেমন সুউচ্চ লেডার রিমোট কন্ট্রোল অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি, অত্যাধুনিক ক্যামেরাসহ ড্রোন, ছোট ও সরু গলিতে অগ্নিনির্বাপণে সক্ষম ছোট গাড়ি এবং ৪-৫ তলা থেকে লাফিয়ে পড়ার জন্য অত্যাধুনিক জাম্বু কুশন ইত্যাদি। যাযাদি :প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে সরকারের কী কী পরিকল্পনা আছে? সাজ্জাদ হোসাইন: সরকার প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন করার লক্ষ্য নিয়ে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর পদক প্রদানের বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করে। যাতে বীর অগ্নিসেনারা কাজে আরও বেশি মনোযোগী হন। ২০২১ সালের ৬ নভেম্বর বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য ৩৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাষ্ট্রীয় পদকে ভূষিত করা হয়। পদকের সংখ্যা ৪টি থেকে বাড়িয়ে ৫০টি, সম্মানি ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়েছে। পদকপ্রাপ্তদের মাসিক সম্মানির পরিমাণ ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০০ টাকা করা হয়েছে। যাযাদি :দেশে শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে, সে অনুযায়ী ফায়ার স্টেশন স্থাপিত হচ্ছে কি? সাজ্জাদ হোসাইন:অবশ্যই। গত বছর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শরীয়তপুরের জাজিরা, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুরসহ ২০টি নতুন ফায়ার স্টেশন চালু করেন। সার্বিক উন্নয়নকে আরও ধগতিশীল করতে দেশেই আন্তর্জাতিক মানের ফায়ার একাডেমি গড়ে তোলার কাজ চলছে। নাম দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফায়ার একাডেমি। ঢাকার অদূরে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গড়ে তোলা হচ্ছে এটি। এর জন্য ১০০ দশমিক ৯২ একর জমি ইতোমধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর বরাদ্দ পেয়েছে। সেখানে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় সারাদেশে ২০৪টি ফায়ার স্টেশন ছিল। বর্তমানে তার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫৬টি। আরও ফায়ার স্টেশন গড়ে তোলার কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে তার সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৬৫টি। সে অনুযায়ী জনবলও বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে অধিদপ্তরটিতে জনবলের সংখ্যা ১৩ হাজার ৪৭৩ জন। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে জনবলের সংখ্যা হবে ১৬ হাজার। পর্যায়ক্রমে প্রতিষ্ঠানটির জনবল ২৫ হাজারে উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে সরকারের। যাযাদি : আপনারা গত এক বছরে কী কী কার্যক্রম চালিয়েছেন? সাজ্জাদ হোসাইন-অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সচেতনতা বাড়াতে গত বছর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ২৪ হাজার ৯১টি মহড়া পরিচালিত হয়েছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিনিরাপত্তা বাড়াতে নতুন ফায়ার লাইসেন্স ইসু্য করা হয়েছে ১৫ হাজার ৮৮৮টি। আর লাইসেন্স নবায়ন করা হয়েছে ৫২ হাজার ১১৭টি। নিয়মানুযায়ী সরকারি বেসরকারি ভবন পরিদর্শন করা হয়েছে ৭ হাজার ৩৮৩টি। আর অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি বিবেচনা করে পরামর্শসহ সার্ভে করা হয়েছে ২ হাজার ২৫৭টি ভবন। সারাদেশে অগ্নিকান্ডের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ৯ হাজার ৩৬টি গণসংযোগ করা হয়েছে। যাযাদি : আগুন নেভাতে গেলে আপনাদের কী ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা পোহাতে হয়? সাজ্জাদ হোসাইন-এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বভাবগতভাবেই মানুষ খুবই উৎসুক। কোথাও আগুন লাগলে শত শত মানুষ ঘটনাস্থলের আশপাশে ভিড় করেন। তাদের কারণে অগ্নিনির্বাপণকারী যানবাহনকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে অনেক বেগ পেতে হয়। তাদের সহজেই রাস্তা থেকে সরানো যায় না। এমন অভিজ্ঞতা সবচেয়ে বেশি হয়েছে বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের সময়। ওই সময় সেনাবাহিনীসহ অন্য সব বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যকে মোতায়েন করতে হয়েছিল। যাযাদি :এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে আপনারা কী উদ্যোগ নিয়েছেন? সাজ্জাদ হোসাইন-এফআর টাওয়ারের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভিড় সামলাতে ফায়ার সার্ভিসে প্রথমবারের মতো ক্রাউড কন্ট্রোল টিম গঠন করি। এ টিমের মূল কাজই হচ্ছে ঘটনাস্থলে মানুষের ভিড় সামলানো। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমেই পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। সেখানে অনধিকার প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি তারা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাতায়াতের জন্য রাস্তা যানজটমুক্ত করে রাখে। এতে করে দেখা গেছে, দ্রম্নত আগুন নেভানো সম্ভব। আর তাতে প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও কম হয়। যা দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর। ভিড় সামলানো সম্ভব না হলে অনেক উৎসুক মানুষ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আহতও হন। যেটি আমাদের কাম্য নয়। এছাড়া দেশের প্রতিটি গ্রামে মানুষকে ফায়ার সার্ভিসের তরফ থেকে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। এরা মূলত স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন। স্বেচ্ছাসেবক দল গঠনের কারণে অগ্নিকান্ডের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে থাকা স্বেচ্ছাসেবীরা পুরো এলাকার রাস্তাঘাট আগেই ফাঁকা করে রাখেন। তাদের সঙ্গে দ্রম্নত গিয়ে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ক্রাউড কন্ট্রোল টিম। এতে আগুন নেভানো অনেক সহজ হয়। সময়ও কম লাগে। উদাহরণ হিসেবে দেখা গেছে, আগে কামরাঙ্গীরচর বা লালবাগ এলাকায় মানুষের ভিড়ের কারণে আগুন নেভানো কষ্টকর হতো। এখন সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। যাযাদি : দ্রম্নততার সঙ্গে আগুন নেভানোর জন্য আরও কী কী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে আপনি মনে করেন? সাজ্জাদ হোসাইন-দ্রম্নত সময়ের মধ্যে আগুন নেভানোর বিষয়টি নির্ভর করে অগ্নিকান্ডের ধরনের ওপর। যদি বড় ধরনের অগ্নিকান্ড ঘটে তাহলে সবার আগে প্রয়োজন ঘটনাস্থলে পৌঁছার জন্য বড় বড় বা ভারী যানবাহন যাতায়াতের উপযোগী রাস্তা। রাস্তা যদি সরু হয়, তাহলে আগুন নেভাতে অনেক বেগ পেতে হয়। দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে, পর্যাপ্ত পানি মজুত থাকা। ফায়ার সার্ভিসের তরফ থেকে ঘটনাস্থলে যে পরিমাণ পানি নিয়ে যাওয়া হয়, অনেক সময়ই তা আগুন নেভানোর জন্য যথেষ্ট হয় না। এজন্য আশপাশে পানির উৎস থাকা প্রয়োজন। ঢাকার খাল কিংবা বহুতল ভবনগুলোতে হাইড্রেন্ড থাকার কথা এজন্যই আমরা বারবারই বলে আসছি। আমরা ঢাকা সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের রাস্তা বড় করা এবং নিজস্ব হাইড্রেন্ড (ব্যক্তিগতভাবে পানির মজুত করার আন্ডারগ্রাউন্ড হাউজ) তৈরির পরামর্শ দিয়েছি। এ দু'টি বিষয় নিশ্চিত করা সম্ভব হলে অবশ্যই অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির হার কমানো সম্ভব হবে। যাযাদি : বর্তমানে অগ্নিনির্বাপণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের যে যন্ত্রপাতি আছে তা কি যথেষ্ট বলে আপনি মনে করেন? সাজ্জাদ হোসাইন-সব সময়ই সরঞ্জামাদির বিষয়ে পর্যাপ্ততা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে প্রাপ্ত সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করে সুনিপুণভাবে কাজ সম্পাদন করাই হলো মুখ্য বিষয়। দেশ উন্নত হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকেও আরও উন্নত করতে হবে। যুক্ত করতে হবে উন্নত প্রযুক্তি। তাহলেই উন্নত সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। আমরা সীমিত পরিসরের মধ্যেই সবোর্চ্চ উন্নত সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে থাকি। ক্ষমতাসীন সরকারের আন্তরিকতার কারণে বর্তমানে আগুন নেভানোর জন্য পানিবাহী গাড়ি রয়েছে ৫৬৭টি। যা ২০০৯ সালেও ছিল ২২৭টি। পাম্প টানা গাড়ি ছিল ২৫০টি। বর্তমানে ৭২৩টি। ফায়ার পাম্প ছিল ৪৫০টি। বর্তমানে ১৪০০টি। অ্যাম্বুলেন্স ছিল ৫০টি। বর্তমানে ১৯৫টি। উঁচু মই ছিল ৩টি। বর্তমানে ২৫টি। বিশেষায়িত গাড়ি ছিল ৫টি। বর্তমানে ৫৪টি। যাযাদি : বিগত দিনের তুলনায় বর্তমানে অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কি কম হচ্ছে? সাজ্জাদ হোসাইন-অবশ্যই। ফায়ার সার্ভিসে উন্নত যানবাহন, প্রযুক্তিসহ নানা উদ্যোগের ফলে অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমে আসছে। গত বছর দেশে ২১ হাজার ৭৩টি অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটেছে। তাতে ৩৩০ কোটি ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তি থাকার কারণে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে এক হাজার ৪২২ কোটি টাকার সম্পদ। বস্তিতে অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটেছে ১০৯টি। এসব দুর্ঘটনায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকার সম্পদ। গত বছর অগ্নি, নৌ, সড়কসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ১২ হাজার ৫৮৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। যাযাদি : দুর্ঘটনাস্থল থেকে অগ্নিসেনারা টাকা, পয়সা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে নেয় কি না তা আপনারা নিশ্চিত করেন কীভাবে? সাজ্জাদ হোসাইন-ফায়ারফাইটার হিসেবে যারা কাজ করেন, তাদের মধ্যেই গোয়েন্দা রয়েছে। তারাই আমাদের খবর জানান। আবার আমরাও নিজস্ব লোক দিয়ে তদারকি করাই। একজন বীর অগ্নিসেনা যখন কাজে নামেন, তখন তাদের মাথায় অগ্নিনির্বাপণ করা ছাড়া আর কিছুই থাকে না। কীভাবে কাজটি শেষ করা যাবে, বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে বা সম্পদকে কীভাবে রক্ষা করতে পারবে, সেটিই থাকে ধ্যানজ্ঞান। এজন্য আজ পর্যন্ত কোন বীর অগ্নিসেনার বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ ওঠেনি। আশা করছি ভবিষ্যতেও উঠবে না। কারণ আমরা তাদের সেভাবেই মানসিকভাবে গড়ে তুলি। এছাড়া কোনো সময় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি অভিযোগ করেন, সেটিও আমরা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখি। তাদের সব সময়ই বোঝানোর চেষ্টা করি, সম্পদের চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি। বেঁচে থাকলে অনেক সম্পদের মালিক হয়তো হবে পারবেন, কিন্তু মরে গেলে সবশেষ। এজন্যই ফায়ার সার্ভিসের মূলমন্ত্র করা হয়েছে গতি, সেবা, ত্যাগ। যা প্রতিটি ফায়ার স্টেশনের সামনে লেখা থাকে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে লাইফ সেভিং ফোর্স হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন দেশবাসী। এটিই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেটি নিরলসভাবে যেকোনো দুর্ঘটনায় দেশ ও দেশবাসীর সেবা করে যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে