বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১

'বিশেষ সুযোগ' নিয়ে হজ নিবন্ধন আরও ৭৮৬ জনের

ষ এখনো ফাঁকা রয়েছে ৬ হাজার ৭১৯ জন ষ হজ ফ্লাইট শুরু ২১ মে
যাযাদি ডেস্ক
  ২৬ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০
'বিশেষ সুযোগ' নিয়ে হজ নিবন্ধন আরও ৭৮৬ জনের

আগামী ২৭ জুন সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চাঁদ দেখাসাপেক্ষে হজের দিন নির্ধারণ হলেও বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রীদের ফ্লাইট শুরু হবে ২১ মে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন এবং ফ্লাইটনাস হজযাত্রী পরিবহণ করবে। হজ ফ্লাইট নিরবচ্ছিন্ন রাখতে রাজধানীর আশকোনায় হজ অফিসে হজ কন্ট্রোল রুম, হেল্প ডেস্ক চালু করতে নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

হজের চুক্তি অনুযায়ী, এ বছর হজযাত্রীর কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন নির্ধারিত হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজব্রত পালন করতে পারবেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আট দফা সময় বাড়ানোর পরও যারা হজে যেতে চূড়ান্ত নিবন্ধন করেনি, তাদের জন্য মঙ্গলবার ছিল এক দিনের বিশেষ সুযোগ। হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এবং হজযাত্রীদের বিশেষ অনুরোধে এক দিনের জন্য নিবন্ধন সার্ভার সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এই বিশেষ এক দিন হজে যেতে চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৭৮৬ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে করেছেন ৩৭ জন এবং বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৭৪৯ জন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজযাত্রী নিবন্ধন সিস্টেমে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে মোট নিবন্ধন করেছেন এক লাখ ২০ হাজার ৪৭৯ জন। সেই হিসাবে এখনো ফাঁকা রয়েছে ছয় হাজার ৭১৯ জন। এর মধ্যে সরকারিতে কোটা এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জনের বিপরীতে নিবন্ধন করেছেন এক লাখ ১০ হাজার ৪০৭ জন। সেই হিসাবে বেসরকারিতে ফাঁকা রয়েছে এক হাজার ৭৯১ জন। এ ছাড়া সরকারিতে বাংলাদেশের জন্য কোটা রয়েছে ১৫ হাজার। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ১০ হাজার ৭২ জন। সে হিসাবে ফাঁকা রয়েছে চার হাজার ৯২৮ জন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, সার্ভারে ছয় হাজার ৭১৯ জন দেখা গেলেও এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকের মতো কোটা সরকারি এবং বেসরকারি হজ ব্যবস্থাপনা টিম সদস্যদের দিয়ে পূরণ হবে। সে হিসাবে নিবন্ধনের জন্য প্রকৃত কোটা বাকি আছে আর তিন হাজারের কিছু বেশি। এই কোটা এখন সৌদিকে ফেরত দিতে হবে।

তিনি জানান, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এবং হজযাত্রীদের বিশেষ অনুরোধে গতকাল নিবন্ধনের জন্য সার্ভার উন্মুক্ত করা হয়। এজেন্সিগুলো প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছিল, অনেক হাজি হজে যেতে চায়। কিন্তু ১১ এপ্রিলের পর সার্ভার ওপেন না করায় তারা চূড়ান্ত নিবন্ধন করতে পারেননি। তাই শেষ সুযোগ দিলে বাকি চার হাজার কোটা পূরণ হয়ে যাবে। সে হিসেবে ফাঁকা কোটা পূরণ করার জন্য মঙ্গলবার সার্ভার উন্মুক্ত করা হয়। কিন্তু শেষ দিনও হতাশ করার চিত্র পাওয়া গেল। শেষদিন নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৭৮৬ জন।

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছর হজে যেতে ইচ্ছুক, কিন্তু এখনো চূড়ান্ত নিবন্ধন করেননি, তাদের জন্য এটিই ছিল শেষ সুযোগ। কারণ, বাংলাদেশ থেকে কতজন হজ করতে যাবেন, সৌদি সরকারকে আগামী ৯ মের মধ্যে জানাতে হবে। এ জন্য নিবন্ধনের শেষ সুযোগটুকু দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গত ৮ ফেব্রম্নয়ারি হজ নিবন্ধন শুরু হয়। আট দফায় সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ না হওয়ায় গত ১১ এপ্রিল উন্মুক্ত নিবন্ধন বন্ধ করা হয়।

এদিকে গত ১৬ এপ্রিল থেকে চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন- এমন হজযাত্রীদের ভিসার জন্য বায়োমেট্রিক শুরু হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের সব জেলার ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়, ঢাকায় অবস্থিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগারগাঁও, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম মসজিদ কমপেস্নক্স, ওয়াক্‌ফ প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকা এবং হজ অফিস, আশকোনা, ঢাকায় বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীরা যেখানে বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করবেন, সেখানে তাদের পাসপোর্ট জমা দেবেন এবং রশিদ গ্রহণ করবেন।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা নিজ নিজ এজেন্সির মাধ্যমে এবং হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) অফিসে বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদনের পর একজন হজযাত্রী তার পাসপোর্ট নিজ নিজ এজেন্সির কাছে জমা দিয়ে রশিদ নেবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে