বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
walton

আদিলুর-এলানের মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

যাযাদি ডেস্ক
  ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

২০১৩ সালে ঢাকার মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে অভিযান নিয়ে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্র ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে করা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার আদিলুরের আইনজীবী মোহাম্মদ রুহুল আমিন ভূঁইয়া জানান, আমরা রায় প্রদানকারী বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের স্বাক্ষরিত রায়ের অনুলিপি হাতে পেয়েছি। আদিলুর রহমান খান শুভ্র এবং এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের পক্ষে দ্রম্নত হাইকোর্টে আপিল করে জামিন চাওয়া হবে।

এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইবু্যনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত এ মামলায় তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদন্ড দেন। একইসঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়, যা অনাদায়ে

আরও ১ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়।

গত ২৪ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন বিচারক। তবে ওই দিন তা প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক রায় ঘোষণা পিছিয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। জামিনে থাকা দুই আসামি আদিলুর ও এলান আদালতে হাজির ছিলেন।

২০১৩ সালে ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলাম সমাবেশ করে। পরে সমাবেশস্থলে রাত্রিযাপনের ঘোষণা দেয় সংগঠনের নেতারা। তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দিতে যৌথ অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই অভিযানে ৬১ জন নিহত হয় বলে দাবি করেছিল মানবাধিকার সংগঠন অধিকার। তবে সরকারের ভাষ্য সেই রাতের অভিযানে কেউ মারা যায়নি। শাপলা চত্বরে অভিযানের পর ২০১৩ সালের ১০ আগস্ট গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন ডিবির তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম।

তদন্ত শেষে ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালতে আদিলুর ও এলানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এতে ৩২ জনকে সাক্ষী করা হয়। ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য অভিযোগ আমলে নেন ঢাকার সাইবার ট্রাইবু্যনাল। এরপর ২০১৪ সালে দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামি আদিলুর ও এলান ৬১ জনের মৃতু্যর 'বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা' তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন তৈরি ও প্রচার করে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অপচেষ্টা চালান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি দেশ-বিদেশে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করে।'

'পাশাপাশি তারা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি করে, যা তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (১) ও (২) ধারায় অপরাধ। একইভাবে ওইদিন তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর টেষ্টা চালান এবং সরকারকে অন্য রাষ্ট্রের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেন।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
shwapno

উপরে