শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও সেপ্টেম্বরে রপ্তানি বেড়েছে

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও সেপ্টেম্বরে রপ্তানি বেড়েছে
লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও সেপ্টেম্বরে রপ্তানি বেড়েছে

লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারলেও সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে। সেপ্টেম্বরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪৩৬ কোটি ডলার। এর বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ৪৩১ কোটি ডলার। অন্যদিকে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৩৬৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) তুলনায় ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি।

রপ্তানি উন্নয়ন বু্যরোর (ইপিবি) পণ্য রপ্তানির হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৪৩১ কোটি ডলার বা ৪ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। এ আয় গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেশি। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে আয় হয়েছিল ৩৯০ কোটি ডলার।

ইপিবির তথ্যে দেখা গেছে, গত জুলাই ও আগস্ট মাসে পণ্য রপ্তানি হয়েছিল যথাক্রমে ৪৫৯ ও ৪৭৮ কোটি ডলারের। সেপ্টেম্বরে তা কমে ৪৩১ কোটি ডলার হয়েছে। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের তুলনায় তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় কমেছে। সেক্ষেত্রে গত জুলাইয়ের তুলনায় কমেছে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ আর আগস্টের তুলনায় কমেছে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। মাসটিতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৩৬ কোটি ডলার। আয় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কম ৪৩১ কোটি ডলার।

সার্বিকভাবে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এক হাজার ৩৬৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) তুলনায় ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি। গত বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে রপ্তানি আয় ছিল এক হাজার ২৫০ কোটি ডলার। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।

এদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, বাইসাইকেলসহ প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।

এ তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে এসেছে ২৬ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। এছাড়া প্রথম প্রান্তিকে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি ৯ দশমিক ৬৭, হোম টেক্সটাইলে ৪৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ, চামড়াবিহীন জুতায় ১ শতাংশ ও হিমায়িত খাদ্যের রপ্তানি ১১ দশমিক ৫১ শতাংশ কমেছে।

একই সময়ে পস্নাস্টিক পণ্যে ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ, ম্যান মেইড ফাইবারে ৫১ দশমিক ৪৩ শতাংশ ও গস্নাসওয়্যারে ৬৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

এদিকে রপ্তানি আয়ের সিংহভাগই আসছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি থাকায় চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত সামগ্রিক পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে।

তথ্য মতে, রপ্তানি আয়ের ৮৫ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। যেখানে এক হাজার ১৬২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। তৈরি পোশাক খাতের মধ্যে ৬৭৬ কোটি ডলারের নিট পোশাক ও ৪৮৫ কোটি ডলারের ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ সময়ে নিট পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ দশমিক ৭০ শতাংশ আর ওভেন পোশাকের প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

\হ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে