বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইল বাগেরহাটের সংখ্যালঘুরা

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইল বাগেরহাটের সংখ্যালঘুরা

নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘু পরিবার ও সাধারণ ভোটারদের ওপর হামলা, মারধর, মাছের ঘের দখল, ভাঙচুর ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে সদ্যবিজয়ী বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহার ও তার

সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তোলেন ওই আসনের মিঠাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল।

সংবাদ হ পৃষ্ঠা ১৫ কলাম ৬

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, 'গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনার পর থেকেই বাগেরহাট-৩ আসনের বিশেষ করে পুরো মোংলা উপজেলায় ত্রাসের রাম-রাজত্ব কায়েম করে চলেছেন নবনির্বাচিত এমপি হাবিবুন নাহারের কতিপয় নেতা ও ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা। তাদের ধারাবাহিক অন্যায়, জুলুম, অত্যাচার, হামলা, মারধর, মাছের ঘের দখল, ভাঙচুর ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে এলাকার সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন জিম্মি হয়ে পড়েছে।'

বিগত ৩ বারের সংসদ নির্বাচনে এখানে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় হাবিবুন নাহার অনেক সহজেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু এবার দলীয় কোনো বাধা না থাকায় বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মোংলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় হাবিবুন নাহারকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে জয়ী হতে হয়। নির্বাচনের শুরু থেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলীর সমর্থক বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কর্মী ও নেতাদের ওপর হাবিবুন নাহারের লোকজন নানাভাবে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকেন। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে নির্বাচনের দিন থেকেই। ভোট গণনা শেষ হতেই হাবিবুন নাহারের ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলীর সমর্থক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাকর্মীদের টার্গেট করে করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা ও মারধর চালানো হয়।

এ বিষয়ে বাগেরহাট-৩ আসনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য হাবিবুন বলেন, হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখেন যারা আহত আছে তারা সবাই কিন্তু আমাদের পক্ষের। তাদের গলায় জোর বেশি আছে সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন বারবার। মোংলা হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখেন, এমনকি খুলনা হাসপাতালেও আছে আমাদের দুইজন।

জামায়াত-বিএনপির লোকজন নৌকায় সমর্থন করে আওয়ামী লীগের লোকজনের ওপর হামলা করেছে এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মী তার (স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী) সঙ্গে দেখা গেছে। আমার সঙ্গে একটিও নাই। আমি জামায়াত বিএনপিকে টানতে যাব কেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন বিধান চন্দ্র রায়, বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উদয় শংকর বিশ্বাস, নির্যাতনের শিকার এলাকাবাসী পিন্টু রায় নয়ন কুমার মন্ডল প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে