বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা ১৫-৩০ জানুয়ারি

যাযাদি ডেস্ক
  ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা ১৫-৩০ জানুয়ারি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ জানিয়েছে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রথম ধাপে তিন বিভাগের ১৮টি জেলার উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা আগামী ১৫ থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন জানান, এই তিন বিভাগের ১৮ জেলার উত্তীর্ণদের ১৫ থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা নিতে হবে।

জানা গেছে, শনিবার পর্যন্ত মোট পাঁচটি জেলার প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা জেলা পর্যায়ে ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী লালমনিরহাট জেলায় ২৩ থেকে ২৮ জানুয়ারি এই মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। ২৩ জানুয়ারি আদিতমারী ও হাতীবান্ধা উপজেলার প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ ছাড়া ২৪ থেকে ২৮ জানুয়ারি হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট সদর ও পাটগ্রাম উপজেলার প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে পৃথক আরও চারটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৬ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭-৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত।

এ ছাড়া বরগুনা জেলায় ২১-২৮ জানুয়ারি এবং নীলফামারীর বিভিন্ন উপজেলায় প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১-২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।

পৃথক পৃথক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে মৌখিক পরীক্ষার এসব সময়সূচি জানানো হয়েছে। নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রার্থীদের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তিগুলোতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এর আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত বছর ৮ ডিসেম্বর রংপুর, সিলেট ও বরিশাল এই তিন বিভাগের ১৮টি জেলায় প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর ২০ ডিসেম্বর প্রকাশিত ফলাফলে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ হাজার ৩৩৭ জন।

২৮৫ শারীরিক প্রতিবন্ধীর নিয়োগে রায় আজ

এদিকে ২৮৫ শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগে জারি করা রুলের চূড়ান্ত রায় আজ রোববার ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন। শনিবার প্রকাশিত সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের রোববারের কার্যতালিকায় রায় ঘোষণার জন্য মামলাটি ৩ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে।

রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উলস্নাহ মিয়া বলেন, 'আশা করছি রোববার হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা তাদের অধিকার ফিরে পাবেন।' এই আইনজীবী বিনাপয়সায় প্রতিবন্ধীদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন।

এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর ২৮৫ শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। একই সঙ্গে এ বিষয়ে রায়ের জন্য ১৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উলস্নাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

গত সপ্তাহে ২৮৫ শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি। ২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী কোটায় বিভিন্ন উপজেলায় ১১৪ সহকারী শিক্ষক পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রতিবন্ধী কোটায় কেন তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে না- তা জানতে রুল জারি করেন আদালত।

এর আগে ১১৪ শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উলস্নাহ মিয়া। তিনি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পক্ষে বিনাপারিশ্রমিকে মামলাটি পরিচালনা করছেন। একই বিষয়ে পরে ১৭১ জন পৃথক আরও তিনটি রিট দায়ের করেন। রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করা হয়।

রিটে সম্প্রতি ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগে প্রতিবন্ধী কোটা থেকে নিয়োগ না দেওয়ার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। সেখানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়। মাহাবুব শেখ, আবু জাহিদ, ফাহিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, পার্থপ্রতীম, শাজাহান শেখ, মনোয়ার হোসেন, আজিজুল ইসলাম, বৃষ্টি রানি রায়, সাজ্জাদ হোসেন সাজু ও নূর আলমসহ বিভিন্ন জেলার মোট ২৪৫ প্রতিবন্ধী প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে