'ধর্মের বোনের' গলা
কাটা, 'ভাইয়ের' ফাঁস
দেওয়া লাশ
ম যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকার একটি বাসা থেকে একজন নারীর গলাকাটা এবং এক পুরুষের গলায় ফাঁস দেওয়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত দুজনের মধ্যে ওই
নারীর নাম মৌসুমী বেগম, বয়স ৩৬;
আর মো. ইব্রাহিমের বয়স ৩৩। এলাকায়
তারা 'ধর্মের ভাই-বোন' হিসেবে পরিচয়
দিতেন বলে পুলিশের ভাষ্য।
তুরাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কামারপাড়ার একটি পাঁচতলা ভবনে
ইব্রাহিমের বাসা থেকে দুইজনের লাশ
উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, 'ইব্রাহিমের বাসায় মৌসুমীর নিয়মিত যাতায়াত ছিল। সোমবার সন্ধ্যার পর মৌসুমীকে বাসায় না পেয়ে তার দুই শিশু সন্তান কাছেই ইব্রাহিমের বাসায় যায়। বাসায় গিয়ে দরজা লাগানো দেখে তারা ডাকাডাকি করে। পরে স্থানীয় লোকজন এসে ভেতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ দরজা ভেঙে ঢুকে দুজনকে মৃত অবস্থায় পায়।'
পরিদর্শক আবু সাঈদ বলেন, মৌসুমীর লাশ বিছানায় গলাকাটা অবস্থায় ছিল। আর ইব্রাহিমের লাশ পড়ে ছিল মেঝেতে, তার গলায় ফাঁস লাগানো ছিল।
তিনি আরও বলেন, 'সব দেখে প্রাথমিকভাবে
মনে হয়েছে, গলা কেটে মৌসুমীকে হত্যা
করার পর ইব্রাহিম নিজের গলায় ফাঁস
লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।'
অবিবাহিত ইব্রাহিম মোবাইল যন্ত্রাংশের ব্যবসা করতেন। আর মৌসুমীর স্বামী গার্মেন্টসের বাইং হাউসে চাকরি করেন। কেন, কী কারণে এই ঘটনা ঘটল সে বিষয়ে পুলিশ এখনো স্পষ্ট কোনো ধারণা পায়নি বলে জানান পরিদর্শক আবু সাঈদ।
যাত্রাবাড়ীতে ছাদ
থেকে 'লাফিয়ে পড়ে'
শিক্ষার্থীর মৃতু্য
ম যাযাদি রিপোর্ট
ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে তোফা ইসলাম (১৭) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃতু্য হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি, তার
মানসিক সমস্যা ছিল। ডিএমপির যাত্রাবাড়ী
থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী
হাসান এসব তথ্য জানান।
যাত্রাবাড়ীর ডিএনডি, গোল্ডেন ব্রিজের পাশে কোনাপড়া পার ডগাইর এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো তোফা। তার বাবা শরিফুল ইসলাম। মা স্কুল শিক্ষিকা সালমা পারভীন। তোহা ছিল তাদের একমাত্র সন্তান। সে ডেমরার শামসুল হক খান কলেজে মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।
মৃতের পরিবারের বরাত দিয়ে এসআই মেহেদী হাসান বলেন, 'সোমবার দিবাগত রাতে সবার অগোচরে পঞ্চম তলার ছাদে গিয়ে লাফিয়ে পড়ে তোফা। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হলেও পরে তার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। এ জন্য ডাক্তারও দেখানো হয়েছিল।'
কোনো অভিযোগ না থাকায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহটি বিনা ময়নাতদন্তে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এসআই।