বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করার অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত এবং পরবর্তী সময়ে ক্ষমা পাওয়া আরও ২৭ জন প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। সোমবার রাত ৮টায় তারা দুবাই থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।
এ সময় বাংলাদেশ প্রবাসী নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে তাদেরকে স্বাগত জানানো হয়। সংগঠনটির বাংলাদেশের আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন ফাহিম জানান, ১৮৮ জন প্রবাসীকে মুক্তি দিয়েছে আমিরাত সরকার। এর মধ্যে আশা করছি, ১৮৫ জনই ফিরে আসবেন। তিন জন প্রবাসীকে সে দেশের বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কী কারণে ফেরত নেওয়া হয়েছে তা এখনো আমরা জানি না। প্রবাসী ভাইয়েরা যখনই ফেরত আসেন, আমাদের পক্ষ থেকে তাদের স্বাগত জানাই। যেহেতু ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে তারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তারা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার এবং একইসঙ্গে সংবর্ধনা পাওয়ার দাবিদার।
এর আগে গত ২ ডিসেম্বর আরব আমিরাতে ক্ষমাপ্রাপ্ত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ২৪ জন দেশে ফিরছেন।
বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মিছিল ও বিক্ষোভ করে গ্রেপ্তার হওয়া আরও ৭৫ প্রবাসীকে গত ২৯ নভেম্বর ক্ষমা ঘোষণা করে আমিরাত সরকার। এ নিয়ে মোট ১৮৮ জনকে মুক্তি দিল দেশটি।
এর আগে ২৯ নভেম্বর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে গ্রেপ্তার হওয়া আরও ৭৫ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেছে দেশটির সরকার। এ নিয়ে মোট ১৮৮ জনকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় মুক্তি দিয়েছে আরব আমিরাত। প্রথম দফায় গত ৩ সেপ্টেম্বর ৫৭ জন বাংলাদেশিকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়।
গত ৩ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, গত ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের। সেখানে বড় অংশজুড়ে ছিল ৫৭ বাংলাদেশির শাস্তি মওকুফের বিষয়টি। প্রধান উপদেষ্টা আমিরাতের প্রেসিডেন্টকে প্রবাসী শ্রমিকদের ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট তার কথা রেখেছেন।
উলেস্নখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছিলেন সে দেশের আদালত। তাদের মধ্যে তিন জনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং ১ জনকে ১১ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছিল।