শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি

যাযাদি ডেস্ক
  ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে অন্তর্র্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শনিবার সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং ৭টা ৬ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির সূর্যসন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন-বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশনও সরাসরি প্রচার করবে।

বাঙালির শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির লড়াইয়ে বুদ্ধিভিত্তিক মনস্তত্ত্ব গঠনে ভূমিকা রেখে প্রাণ হারানো জাতির অগুনতি সূর্যসন্তানের স্মরণের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন হবে শনিবার।

এছাড়া সকাল ৭টা ২২ মিনিটে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপস্থিত শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মিরপুর স্মৃতিসৌধে এবং সকাল সাড়ে ৮টায় রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর কথা রয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সবস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ খুলে দেওয়া হবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী দেবেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে। দিবস উপলক্ষে সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন রাখা হয়েছে।

দিবসের তাৎপর্য রক্ষায় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকায় মাইক বা লাউডস্পিকার ব্যবহার না করার জন্য সর্বসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময়জুড়েই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। তবে বিজয়ের প্রাক্কালে এ হত্যাযজ্ঞ ভয়াবহ রূপ নেয়। আর একাজে তাদের সহযোগিতা করেছিল দেশীয় দোসররা।

ডিসেম্বরের মধ্যভাগে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয় যখন অনিবার্য; তখন এদেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি বাহিনী হত্যা করে বাংলাদেশের প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবীদের; এর উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দেওয়া। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালির বিজয় যখন আসন্ন, তখনই ঘটে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম সেই হত্যাকান্ড।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ বহু খ্যাতিমান বাঙালিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে। নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনেই পাকিস্তানি বাহিনী ওই নিধনযজ্ঞ চালায়; তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর যেন বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে- তা নিশ্চিত করা। শরীরে নিষ্ঠুর নির্যাতনের চিহ্নসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের লাশ পাওয়া যায় মিরপুর ও রায়েরবাজার এলাকায়। পরে তা বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।

প্রায় অর্ধশতক পর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির অংশহিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার ২০২০ সালে প্রাথমিকভাবে এক হাজার ২২২ জনের একটি তালিকা করে।

বুদ্ধিজীবী দিবসে ট্রাফিকের ৫ নির্দেশনা

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা, বিদেশি কূটনীতিক এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

এ কারণে যানবাহনের সুষ্ঠু চলাচল নিশ্চিতে ভোর ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন মিরপুর মাজার রোড (মাজার রোড ক্রসিং হতে মিরপুর ১ নম্বর ক্রসিং পর্যন্ত) পরিহার করে বিকল্প সড়কে চলাচলের অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।

বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান। ট্রাফিক বিভাগ থেকে বিকল্প সড়ক যানবাহনের চলাচলের জন্য পাঁচটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেসব যানবাহন আশুলিয়া থেকে বেড়িবাঁধ সড়ক দিয়ে মিরপুরে আসবে, সেসব যানবাহন নবাবেরবাগ ক্রসিং থেকে গুদারাঘাট হয়ে রাইনখোলা ক্রসিং (চিড়িয়াখানা সড়ক) ব্যবহার করবে।

যেসব যানবাহন মাজার রোড ক্রসিং দিয়ে শাহ আলী মাজার সংলগ্ন এলাকা অতিক্রম করবে, সেসব যানবাহন টেকনিক্যাল মোড়-আনসার ক্যাম্প-বাঙলা কলেজ-মিরপুর ১ নম্বর সড়ক ব্যবহার করবে।

যেসব যানবাহন মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে মিরপুর ১ নম্বর ও মাজার রোড হয়ে গাবতলীর দিকে যাবে, সেসব যানবাহন মিরপুর ১ থেকে ডানে তানিন গ্যাপে ইউটার্ন করে নবাবেরবাগ ক্রসিং বা দিয়াবাড়ি ক্রসিং হয়ে ব্রাদার্স গ্যাপ দিয়ে গাবতলী চলাচল করবে।

গাবতলী থেকে ঢাকামুখী যানবাহন ব্রাদার্স গ্যাপ থেকে বামে টার্ন করে বেড়িবাঁধ দিয়াবাড়ি ক্রসিং হয়ে নবাবেরবাগ ক্রসিং দিয়ে গুদারাঘাট ও রাইনখোলা ক্রসিং (চিড়িয়াখানা সড়ক) ব্যবহার করবে।

দারুস সালাম থানা এলাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের যানবাহন ১০ নম্বর কমিউনিটি সেন্টারের রাস্তা ব্যবহার না করে গোলারটেক হয়ে পালপাড়া ঘাট দিয়ে গাবতলী বেড়িবাঁধের রাস্তা দিয়ে দিয়াবাড়ি ও নবাবেরবাগ ক্রসিং হয়ে চলাচল করবে।

এদিকে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের বার্ষিকীতে বরাবরের মতোই সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে একাত্তরের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ সম্মেলনে এবারের বিজয় দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

দুই যুগের পাকিস্তানি শাসনের অবসান ঘটিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল যে বাংলাদেশ, আগামী সোমবার তার ৫৩ বছর পূর্তি উদযাপন করবে জাতি। গণ-অভু্যত্থানে ক্ষমতার পালাবদলের পর এটাই প্রথম বিজয় দিবস।

সেদিন প্রতু্যষে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনৈতিক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন সেদিন।

১৬ ডিসেম্বর সরকারি ছুটির দিন। সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সেদিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনা আলোকসজ্জায় সজ্জিত হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত হবে। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। টেলিভিশনে প্রচার করা হবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।

এছাড়া দেশের সব জেলা ও উপজেলায় দিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ বিজয় মেলা (চারুকারু ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিল্প পণ্যের) আয়োজন করা হবে। শিশুদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন থাকবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ওইদিন বিকালে বঙ্গভবনে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারগুলোকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এছাড়া মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

\হ

জাতীয় স্মৃতিসৌধে তিন দিন প্রবেশে মানা

বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ চত্বরে সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ থাকবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বরাবরের মতো এবারও জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপ্রধান মো. সাহাবুদ্দিন ও সরকারপ্রধান মুহাম্মদ ইউনূস।

১৬ ডিসেম্বর ভোরে আমন্ত্রিত অতিথিরা স্মৃতিসৌধ ছেড়ে না যাওয়া পর্যন্ত সেখানে সাধারণ মানুষ যেতে পারবে না। আর শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে কেউ যাতে ফুল বাগানের ক্ষতি না করে, সেজন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ঢাকার গাবতলী থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সড়কে বিজয় দিবসের কোনো পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন না টানাতেও সতর্ক করা হয়েছে।

দুই যুগের পাকিস্তানি শাসনের অবসান ঘটিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল যে বাংলাদেশ, আগামী সোমবার সেই বিজয়ের ৫৩ বছরপূর্তি উদযাপন করবে জাতি। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এটাই প্রথম বিজয় দিবস। সেদিন প্রতু্যষে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। ১৬ ডিসেম্বর সরকারি ছুটির দিন। সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সেদিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনা আলোকসজ্জায় সজ্জিত হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত হবে। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। টেলিভিশনে প্রচার করা হবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এ উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশু সদনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। দেশের সব শিশু পার্ক ও জাদুঘর বিনা টিকিটে সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে এবং সিনেমা হলে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।

\হ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে