রোববার, ০৪ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

চট্টগ্রামে সবজির বাজারে স্বস্তি

চট্টগ্রাম বু্যরো
  ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
চট্টগ্রামে সবজির বাজারে স্বস্তি

চট্টগ্রামে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে সবজির দাম আরও কমেছে। বিশেষ করে আলু ও টমেটোর দাম কমেছে। এতে স্বস্তি ফিরছে ভোক্তাদের মাঝে।

শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, অক্সিজেনসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

সবজির বাজারগুলোতে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের চেয়ে নতুন আলুর দাম কেজিতে ২০ টাকা কমেছে। বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। লাল আলু ৮০ টাকা, সাদা আলু ৮০ টাকা, বগুড়ার আলু ৯০ টাকা ও মুন্সীগঞ্জের আলু ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি সংশ্লিষ্ট আরও খবর পৃষ্ঠা ৩

হচ্ছে। টমেটোর দাম কেজিতে গত সপ্তাহের চেয়ে অন্তত ২০ টাকা কমেছে। বাজারে ভারতীয় টমেটো ১৪০ টাকা, লাল টমেটো ১৪০ টাকা ও কাঁচা টমেটো ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজির মধ্যে ফুলকপি ৩০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। মূলার দাম ৫০ টাকার মধ্যে এসেছে। শিমের দাম কেজিতে অন্তত ২০ টাকা কমে ৮০ টাকায় এসেছে। এ ছাড়া লম্বা বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কালো গোল বেগুন ১০০ টাকা, শসা ১০০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা, ধনেপাতা ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর লাউ ৮০ টাকা, চালকুমড়া ৮০ টাকা, প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ৩০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ। কেজিতে ৩০-৫০ টাকা বেড়ে রুই ৩৫০ থেকে ৪৫০, কাতল ৩২০ থেকে ৪৮০, চাষের শিং ৫৫০-৬০০, চাষের কৈ ২২০ থেকে ২৪০, কোরাল ৭৫০ থেকে ৮০০, চাষের পাঙাশ ১৫০ থেকে ২২০ ও তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পোয়া ৪৫০, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০, শোল ৭০০ থেকে ৯০০ এবং চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকায়।

বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম (বাদামি) ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৪-১৫২ টাকা। আর ফার্মের সাদা ডিমের ডজন ১৩৫ থেকে ১৪৫। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬৫ থেকে ১৭০। সোনালি মুরগি ১৫ টাকা কমে ২৮৫-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০। আর হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। গরু ৭৫০-৯০০ এবং খাসি ১০৫০-১১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন প্রকার চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গত সপ্তাহে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি জিরাশাইল চালের দাম ছিল ৭০-৭৩ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৭২-৭৫। মাঝারি মানের চাল (সিদ্ধ) বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৮-৫০ টাকা। আর মিনিকেট চাল ৬০-৬২ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৩-৬৬ টাকায়। ৫৬-৫৮ টাকার পাইজাম চাল এখন ৬২-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সরু নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা।

মুদি দোকানে প্যাকেটজাত চিনি প্রতিকেজি পাঁচ টাকা কমে ১২৫ টাকা ও খোলা চিনি ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য পণ্যের মধ্যে ছোট মসুরের ডাল ১৩০ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৫৫ টাকা, খেসারি ডাল ১১০ টাকা, চনার ডাল ১৪৫ টাকা, ছোলা ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দুই কেজি প্যাকেট আটা ১২৫ টাকা, ময়দা ১৫০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এদিকে দাম পুনর্নির্ধারণের পর এখন প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকায়, খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৫৭ টাকায়। আগে বোতলজাত তেল ১৬৭ টাকা ও খোলা তেল ১৪৯ টাকায় বিক্রি হতো।

নগরের চকবাজার বাজারে আসা আহসানুল করিম বলেন, শীতকালে সবজির দাম তো কমই থাকবে। সরবরাহ বেশি তাই দাম কম? অন্যদিকে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছেই।

বহদ্দারহাট বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. ইব্রাহিম বলেন, শীতকালীন সবজির দাম বাড়েনি বরং কমছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ধীরে ধীরে সবজির দাম আরও কমবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে