ম যাযাদি ডেস্ক
ভাগ্য বদলাতে ইতালি পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন মাদারীপুরের রাকিব মহাজন নামের এক যুবক। কিন্তু প্রথমেই তিনি পড়েন পাচারকারীদের খপ্পরে। তিন বছর লিবিয়ার 'গেমঘরে' দালালচক্রের ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়ে অবশেষে তিনি মারা গেছেন বলে খবর এসেছে তার পরিবারের কাছে। এই খবরে তার পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সন্তান হারিয়ে বাকরুদ্ধ তার বাবা-মা। শোকে কাতর গোটা পরিবার ও গ্রামবাসী। এদিকে, মোটা অংকের বেতনের প্রলোভনে পড়ে লিবিয়ায় গিয়ে দালালদের হাতে জিম্মি চুয়াডাঙ্গার ৩৭ যুবক। জনপ্রতি আরো ২২ লাখ টাকা দাবি করে এক বছর ধরে তাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে চক্রটি। অভিভাবকরা জমিজমা বিক্রি করে সর্বস্ব দিয়েও রক্ষা করতে পারছেন না তাদের সন্তান স্বজনদের। থানায় মামলা করেও মিলছে না প্রতিকার। অন্যদিকে, সংসারের হাল ধরতে সৌদি আবর গিয়ে প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন ময়মনসিংহের তিন যুবক। দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীন ওই যুবকেরা জীবিত দেশে ফিরতে বারবার পরিবারের কাছে বার্তা পাঠাচ্ছেন। এতে ধারদেনা করে সন্তানদের বিদেশ পাঠিয়ে হতাশায় ভুগছেন স্বজনরা।
লিবিয়ার গেমঘরে বন্দি আলমডাঙ্গার ৩৭ যুবক
স্টাফ রিপোর্টার, চুয়াডাঙ্গা জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৩৭ যুবক দালালদের খপ্পরে পড়ে লিবিয়ায় গেমঘরে বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। এদের বাড়ি উপজেলার খেজুরতলা, বন্ডবিল ও ফরিদপুর গ্রামে। এর মধে খেজুরতলা গ্রামের রয়েছেন ২৬ জন।
সরেজমিন গেলে এসব যুবকদের আপজনেরা তাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরেন। পাচারের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। ভুক্তভোগীরা জানান, আলমডাঙ্গা থানায় ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফরিদপুর গ্রামের হারুন জানান, তার মামাতো ভাই আলমডাঙ্গা উপজেলার নওদা বন্ডবিল গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে সজিব আহম্মেদকে গত বছরের জানুয়ারি মাসে ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ইতালিতে ভালো বেতনের চাকরীর প্রতিশ্রম্নতি দেন একই উপজেলার বেলগাছী গ্রামের জান্টু মেম্বারের ছেলে লিবিয়া প্রবাসী সাগর। তার প্রতিশ্রম্নতি অনুযায়ী, তাদের পরিবারের সদস্যরা জান্টু মেম্বারের ছেলে জীমের কাছে ১০ লাখ টাকা নগদ দেন। ফেব্রম্নয়ারি মাসে জান্টু মেম্বার ও জীম সজিব আহাম্মেদের লিবিয়া যাওয়ার কাগজপত্র দেন। ওই সময় তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় ইতালির কাগজপত্র না দিয়ে লিবিয়ায় যাওয়ার কাগজপত্র কেন? জীম ও জান্টু মেম্বার জানান, প্রথমে তাকে লিবিয়া নিতে হবে। এরপর লিবিয়া থেকে ইতালি নেওয়া হবে। তাদের কথায় সরল বিশ্বাসে সেই সময় আরো ৩ লাখ টাকা দেন তারা। বাকী ২ লাখ টাকা ইতালি পৌঁছানোর পর দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। ফেব্রম্নয়ারী মাসে লিবিয়ায় পৌঁছানোর মাঝপথে জীম আরও ২ লাখ দাবী করেন। জীম জানান, এখনই ২ লাখ টাকা না দিলে সজিবকে ইতালি পাঠানো সম্ভব না। তারা উপায়ান্ত না পেয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে ধার-কর্জ করে আরও ২ লাখ টাকা জীমের হাতে তুলে দের। কয়েকদিন পর ভিডিও কলের মাধ্যমে লিবিয়ার প্রবাসী জান্টু মেম্বারের ছেলে সাগর জানান, আরও ১০ লাখ টাকা দিতে হবে তা না হলে সজিবের হাত পায়ের নখ উপড়ে ফেলা হবে। ভিডিও কলে সজীবের কাছে নির্যাতনের ভয়াবহতা সম্পর্কে তারা অবগত হন। এ খবরে তারা উপায় না দেখে জীমের হাতে বিভিন্ন সময়ে আরো ৭ লাখ টাকা দেন। এরপর লিবিয়া থেকে সাগর বিভিন্ন সময় ফোনের মাধ্যমে ২২ লাখ টাকার দাবী করে জানিয়েছেন, তোদের ছেলেকে বাঁচাতে চাইলে এই টাকা দিতে হবে।
হারুন আরও বলেন, 'পরবর্তীতে আমি সাগরের নিকট ফোন করে জানতে পারি আমার গ্রামের ১৯ ব্যক্তিসহ আশপাশের ৩৭ জনকে জিম্মি করেছে তারা। সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই। সাগর দালাল, লিবিয়া থাকলেও আমি সম্পূর্ণ টাকা জীম, তার চাচাতো ভাই জীবন ও বেলগাছী গ্রামের ঠান্ডুর স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা বেদেনা খাতুন, ও এই সিন্ডিকেটের মূলহোতা লিবিয়া প্রবাসী সাগরের বাবা জান্টু মেম্বারের কাছে দিয়েছি। আমি তাদেরকে আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচারের দাবী জানাচ্ছি।'
অভিযুক্তদের নামে মামলা করলেও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কেবলমাত্র জীবনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ মামলায় আসামীদের সবাই আদালত থেকে জামিন হয়ে গেছে। আসামিরা লিবিয়ায় সাগরের হাতে জিম্মি ৩৭ যুবককে এবং তাদের স্বজনদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে তারা ভীষণ শংকিত ও আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন বলেও জানান।
উলেস্নখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ভুক্তভোগী পরিবারের ২২ ব্যক্তির পক্ষে আলমডাঙ্গা খেঁজুরতলা গ্রামের মরহুম মঙ্গল মন্ডলের ছেলে রেজাউল হক বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামী করা হয়েছে একই উপজেলার বেলগাছী গ্রামের ঠান্ডুর ছেলে জীম, জান্টুর ছেলে জীবন ও সাগর, জান্টু মেম্বারের স্ত্রী আমেনা খাতুন, মরহুম ইয়াছিন মালিথার দু'ছেলে ছেলে ঠান্ডু ও জান্টু মেম্বার এবং ঠান্ডুর স্ত্রী বেলগাছী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুল শিক্ষিকা বেদেনা খাতুনকে।
নাগদাহ ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের আল মামুন বলেন, 'তার ছেলেকে ইতালী নিয়ে যাওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে এক বছর ধরে আটক রেখে নির্যাতন করছে তার হাত পায়ের নখ তুলে ফেলেছে তাকে খেতে দেয় না। এখন ২২ লাখ টাকা দাবি করছে আমরা গরিব মানুষ অত টাকা কোথায় পাব? আমরা আমাদের ছেলেকে ফেরত চাই।'
একই গ্রামের আব্বাস আলী বলেন, 'আমার ছেলেকে পাঠানোর জন্য বেলগাছি গ্রামের সাগর দালালের সাথে আমাদের ১৩ লক্ষ টাকার কথা হয়, প্রথমে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে পরে ওখানে যে তিন লাখ টাকা দিতে হবে এবং আরো কথা হয় তাকে ইতালি নিয়ে যাবে কিন্তু তাকে ইতালি না নিয়ে লিবিয়ায় আটকিয়ে রেখে সেখানে নির্যাতন করছে এর মধ্যে নিয়ে যাওয়ার আগেই আমার কাছ থেকে আরও তিন লাখ টাকা নিয়েছে এখন আরও ২২ লাখ টাকা দাবি করছে।'
খেজুরতলা গ্রামের মাঝপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মো. জালাল উদ্দিন বলেন, 'আমাদের গ্রামের গরীব মানুষ তারা দেনা দায় করে, লোন তুলে ১৩ লাখ টাকা বন্দোবস্ত করে এক বছর আগে তাদের ছেলেদের পাঠায় ইতালি। কিন্তু সেখানে না নিয়ে তাদেরকে লিবিয়া নিয়ে আটক রেখে মারধর করছে খেতে তো দিচ্ছেনা,আবার শুনছি এখন নতুন করে ২২ লাখ টাকা চাচ্ছে।'
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, 'মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা হয়েছে। এর পরপরই পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে। আসামীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।'।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো.জহিরুল ইসলাম বলেন, 'বিষয়টা আমি শুনেছি। পুলিশ সুপারের সাথে আলোচনা করেছি ইতিমধ্যে মামলাও হয়েছে। আমি বলব প্রবাসে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবাইকে আরো সতর্ক হতে হবে।'
লিবিয়ায় মাদারীপুরের রাকিব নিহত
স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর জানান, তিন বছর লিবিয়ার গেমঘরে দালালের অমানবিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মারা গেছেন রাকিব মহাজন নামের এক যুবক। বুধবার রাতে তার মৃতু্যর খবর নিশ্চিত করেছে তার পরিবার। রাকিব মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের পখিরা গ্রামের নাজিম উদ্দিন মহাজনের ছেলে।
জানা গেছে, উন্নত জীবনের আশায় মাদারীপুর সদর উপজেলার মৃত ফটিক মৃধার ছেলে জাহাঙ্গীর মৃধার প্রলোভনে পড়ে রাকিব। জাহাঙ্গীর মৃধা তার ভায়রা শরীয়তপুরের পালং থানার ধানুকা ইউনিয়নের ছোট বিনোদপুর গ্রামের সোহাগ মাতুব্বরের মাধ্যমে ২৭ লাখ টাকায় ইতালিতে পৌছে দেয়ার চুক্তি করে। সে মতে ২৭ লাখ টাকা দিয়ে তিন বছর আগে রাকিব পাড়ি জমান লিবিয়া। তবে লিবিয়ার নেয়ার পরে গেমঘরে রেখে আরো টাকার জন্য নির্যাতন চালাতে থাকে সোহাগ মাতুব্বর। পরে রাকিবের পিতা নাজিম উদ্দিন ধার-দেনা করে আরো ৫ লাখ টাকা দেন সোহাগকে। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। লিবিয়ায় দুই বছর চার মাস অসহ্য যন্ত্রণা-নির্যাতন সহ্য করে কাটিয়েছে রাকিব।
নিহত রাকিবের পিতা নাজিম উদ্দিন মহাজন জানান, 'দফায় দফায় টাকা দিয়ে আমি সর্বস্বান্ত। এ পর্যন্ত সোহাগ আর মাজেদকে ৪৫ লাখ টাকা দিয়েছি। তারপরে এখন আমার ছেলের মৃতু্যর খবর শুনতে হলো।'
অভিযোগের বিষয় স্থানীয় দালাল জাহাঙ্গীর মৃধা বলেন, 'আমার ভায়রা সোহাগ বিধায় আমাকে জড়ানো হচ্ছে। কেউ বলতে পারবে না যে, আমি তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি। আর ওই ছেলে অসুস্থ হয়ে লিবিয়ায় মারা গেছে। আমার ভায়রা বরং সেখানে ট্রিটমেন্ট করেছে। এর বেশি কিছু জানি না।'
আর মাজেদ খলিফার বাড়ীকে কাউকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা বলেছেন, মৃতু্যর বিষয়টি জানার পরে তার পরিবার বাড়ী থেকে পালিয়েছে।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, 'বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি মাদারীপুরে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে। আমরা জেলা পুলিশ এসব বিষয়ে জিরো টলারেন্সে আছি।'
নান্দাইলের তিন যুবক ফিরতে চান দেশে
ময়মনসিংহ বু্যরো জানায়, অভাব-অনটনের সংসারের হাল ধরতে গিয়ে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সৌদি আরব গিয়ে বিপাকে পড়েছেন ময়মনসিংহের নান্দাইলের তিন যুবক। দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীন ওই যুবকেরা জীবিত দেশে ফিরতে বারবার পরিবারের কাছে বার্তা পাঠাচ্ছেন। এতে ধারদেনা করে সন্তানদের বিদেশ পাঠিয়ে হতাশায় ভুগছেন স্বজনরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি, সতর্কতার সহিত বিদেশ যেতে হবে বলে জানিয়েছেন রেঞ্জ ডিআইজি।
এরা হলেন- নান্দাইলের দেউল ডেংরা গ্রামের আব্দুল হেলিমের ছেলে আনোয়ার হোসেন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কুমারুল গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে শাহ আলম ও ধোবাউড়া উপজেলার পশ্চিম সোহাগী গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মাসুম আহমেদ।
জানা গেছে, এদের ভালো বেতনে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৬-৭ লাখ টাকা নিয়ে সৌদি আরবে পাঠায় ঢাকার বনানী সৈনিক ক্লাবে অবস্থিত খান ট্রাভেলস অ্যান্ড টু্যরিস্ট কোম্পানি। দুই মাস আগে তারা বিদেশে গেলেও এখনো কথা অনুযায়ী দেওয়া হয়নি কোনো কাজ। সেখানে তারা পার করছেন মানবেতর জীবন। পরিবারের কাছে প্রতিনিয়ত বার্তা পাঠাচ্ছেন জীবিত দেশে আসার ব্যবস্থা করতে। এদিকে ধারদেনা করে পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে ছেলেদের বিদেশ পাঠিয়ে চরম অশান্তিতে ভুগছেন স্বজনরা।
ভুক্তভোগি শাহ আলমের বাবা জালাল উদ্দিন বলেন, 'ছেলেকে সৌদি আরব পাঠিয়েছিলেন পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরানোর জন্য। এখন ছেলেকে জীবিত পেলেই বাঁচি, প্রায় দুই মাস ধরে তারা সেখানে গেলেও কোন কর্মে যোগ দিতে পারেনি। এজেন্সির লোকজনের মোবাইলও বন্ধ রয়েছে, তাদের সাথে কোন ধরণের যোগাযোগ হচ্ছে না। ছেলেরা খেয়ে না খেয়ে খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছে, সরকারের কাছে শুধুমাত্র ছেলেকে দেশে ফেরানোর সহযোগিতা চাই।'
ভিডিও বার্তায় ভুক্তভোগি যুবকরা জানান, খান ট্রাভেলস অ্যান্ড টু্যরিস্টের মালিক খান সালাউদ্দীন সোহাগের বৈধ লাইসেন্স নেই। সে অন্যের একটি এজেন্সির মাধ্যমে আমাদের বিদেশ পাঠিয়ে দালালী খেয়েছে। তিনি মূলত বিদেশগামী মানুষের সাথে দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রতারণা করে আসছেন। এখানে তাদের থাকা-খাওয়ার খুব কষ্ট হচ্ছে, কয়েকদিন থাকলে মরেও যেতে পারেন। প্রশাসনের সহযোগিতায় দেশে জীবিত ফিরতে চান তারা।
মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয়ে খান ট্রাভেলস অ্যান্ড টু্যরিস্টের মালিক খান সালাউদ্দীন সোহাগ বলেন, 'আমি এই এজেন্সির মূল মালিক না হলেও একজন অংশীদার। যার ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করছি। চুক্তি অনুযায়ী ভিসার সব শর্ত মানা হয়েছে। তারা কাজ না করলে আমার কিছু করার নেই।'
ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ড. আশরাফুর রহমান বলেন, 'বিদেশে গিয়ে হয়রানীর শিকার ভুক্তভোগিরা আইনের আশ্রয় নিলে তাদের সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া যারা বিদেশে যাবেন বা যাচ্ছেন তাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত। কারণ কোন এজেন্সির মাধ্যমে আমি যাচ্ছি, তার কোন বৈধতা আছে কি না সেগুলো খুঁটিনাটি দেখা প্রয়োজন। যেনো কোন কারণে সারা জীবনের অর্জিত অর্থ বিফলে না যায়।'