বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২

চট্টগ্রামে অল্প দামেই মিলছে নানা সবজি

চট্টগ্রাম বু্যরো
  ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
চট্টগ্রামে অল্প দামেই মিলছে নানা সবজি

চট্টগ্রাম নগরে অল্প দামেই মিলছে নানা সবজি। মাস চারেক আগেও যেখানে অধিকাংশ সবজিরই দাম ছিল ১০০ টাকার বেশি, সেখানে এখনকার বাজারে সেই ১০০ টাকাতেই মিলছে অন্তত চার কেজি সবজি। মূলত শীতের নানা সবজিতে ভরপুর চট্টগ্রামের কাঁচাবাজার। নভেম্বরের শুরু থেকেই নিম্নমুখী দাম। ডিসেম্বরে সেই দাম নেমে যায় ৫০ টাকার নিচে। জানুয়ারিতে আরও কমে সবজির দাম।

শুক্রবার নগরের অক্সিজেন, আতুরার ডিপো, বহদ্দারহাট, চকবাজার, কর্ণফুলী কমপেস্নক্স, কাজীর দেউড়িসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

বিক্রেতারা বলছেন, নভেম্বরের শুরু থেকেই নিম্নমুখী দাম। ডিসেম্বরে সেই দাম নেমে যায় ৫০ টাকার নিচে। জানুয়ারিতে আরও কমে সবজির দাম।

কাঁচাবাজারে ৫০ টাকার বেশি দাম কেবল তিন সবজির। বাকি সবজির দাম ২০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। এরমধ্যে ৩০ টাকার মধ্যে দাম আট সবজির। এসব সবজির মধ্যে রয়েছে আলু, ফুলকপি, শিম, বাঁধাকপি, মুলা, লাউ, শালগম ও মিষ্টি কুমড়া। এরমধ্যে আলু ২৫, ফুলকপি ৩০, শিম ৩০, বাঁধাকপি ২০, মুলা ২০, লাউ ৩০, শালগম ৩০ ও মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। এর বাইরে কাঁচা মরিচ, বেগুন ও টমেটো ৪০, শিমের বিচি ৯০, বরবটি এবং পেঁপে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শসা ৩০, মিষ্টিকুমড়া ৩০, করলা ৪০, মটরশুঁটি ৭০, গাজর ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ ও লাউ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শাকের মধ্যে লাল শাক, লাউ শাক, মুলা শাক, পালং শাক, কলমি শাক, ডাঁটা শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে মাছের মধ্যে লইট্যা ২০০ থেকে ২১০ টাকা, পাঁচমিশালি মাছ ১৩০-১৪০ টাকা, রূপচাঁদা ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, ছোট ইলিশ ৭০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মাঝারি ও বড় ইলিশ ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য মাছের মধ্যে চাষের শিং আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছ আকারভেদে ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাস ১৮০ থেকে ২২০ টাকায়, বড় চিংড়ি ৭০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়, বোয়াল মাছ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, চাষের কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাছের দামে তেমন হেরফের হয়নি।

মাংসের মধ্যে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৪০ থেকে ৫৮০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া গরু ও মহিষ কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৯৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৫৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাংসের দামও গত সপ্তাহের মতোই আছে।

মুদি দোকানের অন্যান্য পণ্যের মধ্যে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৬৮ টাকা, পাম তেল ১৫৫ থেকে ১৫৮ টাকায়, পাম তেল সুপার ১৫৯ থেকে ১৬২ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৪০ টাকা ও বোতলজাত ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্যাকেটজাত চিনি প্রতিকেজি ১২৫ টাকা, খোলা চিনি ১৩০ টাকা, ছোট মসুরের ডাল ১৩০ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৫৫ টাকা, খেসারি ডাল ১১০ টাকা, চনার ডাল ১৪৫ টাকা, ছোলা ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দুই কেজি প্যাকেট আটা ১২৫ টাকা, ময়দা ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বাজারে প্রতি কেজি পাইজাম আতপ ৭৫ টাকা, কাটারি আতপ ৮৫ টাকা, স্বর্ণা সিদ্ধ ৭০ টাকা, নাজিরশাইল হাফসিদ্ধ মানভেদে ৮৫ ও ৮৮ টাকা, জিরাশাইল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, মিনিকেট আতপ ও সিদ্ধ ৭৪-৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বাজারে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে যা ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তবে আদা ও রসুনের দাম বেড়েছে। প্রতিকেজি দেশি রসুন ২৩৫, চায়না রসুন ২০০ থেকে ২২০ টাকা, ভারতীয় আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চায়না আদা ২২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে আদা ও রসুনের দাম কেজিতে অন্তঃত ১০ থেকে ২০ টাকা কম ছিল।

নগরের চকবাজারে সবজি কিনতে এসেছিলেন পুলক দাশ নামের এক বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, দেশের অস্থিরতা কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে সবজির বাজার। দাম অনেক কমেছে। যে সবজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় কিনেছি সে সবজি এখন ৫০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে মিলছে। তবে, এটি ধরে রাখতে নিয়মিত প্রশাসনিক মনিটরিং দরকার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে