রমজানের প্রথম দিনে বেড়েছে রোজার পণ্যের দাম। ভোজ্যতেলের সরবরাহ কম থাকায় আগে থেকেই পণ্যটি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছিল। তবে অন্যান্য পণ্যের সরবরাহ যথেষ্ট পরিমাণে থাকায় এক মাস আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
রোববার প্রথম রমজানের দিন ও আগের দিন শনিবার রাজধানীর মিরপুর ও ফার্মগেট এলাকার বাজার এবং কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
মেশিনে ভাজা খোলা মুড়ি ৮০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। শনিবার সকালেও ৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। হাতে ভাজা মুড়ির কেজি উঠেছে ১৫০ টাকায়। এক মাস আগে এই মুড়ি ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেট মুড়ি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
দুই ধরনের ছোলা ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা থেকে ১২৫ টাকায়। রাজধানীর খোলাবাজারের ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরের ছোলা সুপারশপে প্যাকেট করে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে। ১০ টাকা বেড়ে ছোলার বেসন বিক্রি হচ্ছে বাজার ভেদে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে। ৭০ টাকার কেজি দরের অ্যাংকরের বেশন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। মিক্স বেসন ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আগের দরে চিকন মসুর ডাল ১৪০ টাকা, বড় ডাল ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
খোলা ছোট বরই খেজুর ৬০০ থেকে বাজার ভেদে ৬৫০ টাকা, খোলা নরম খেজুর ২৫০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। এসব খেজুর এক আগেও যথাক্রমে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, ২০০ টাকা ও ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া প্যাকেটজাত খেজুর কোম্পানি ও দেশ ভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।
ভোজ্যতেলে গত কয়েক মাস ধরেই চাহিদা মতো পাওয়া যাচ্ছে না। সরবারহকারী কোম্পানিগুলো চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ থেকে অর্ধেক সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ দোকানদারের। বিশেষ করে আধা লিটার থেকে এক লিটার ওজনের বোতলজাত তেলের সংকট। এসব তেল কম আয়ের মানুষ ব্যবহার করে থাকে। বাড়তি দাম দিলে তেল কোম্পানির লোকজন তেল সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ করেন অনেক দোকানদার। এজন্য আধা লিটারের বোতলে খুচরা মূল্য ৭৫ টাকা লেখা থাকলেও ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
মিরপুর-১৩ নম্বরের দোকানদার লিটন জানান, কোম্পানির লোকজন চাহিদার অর্ধেক তেল দেয়। বাড়তি দাম দিলে গোপনে পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছে। অথবা গোপন ঠিকানায় নিয়ে গিয়ে তেল দিচ্ছে। সয়াবিন তেলের কালোবাজারি শুরু হয়েছে!
লিটন আরও বলেন, কোম্পানি থেকে কম তেল সরবরাহ করার কারণে ডিলার ও কোম্পানির লোকজনরা নিজেরা কিনে রেখে সেই তেল গোপনে দোকানদারের কাছে বাড়তি দামে বিক্রি করছে।
রোজার দিন বেড়েছে সব ধরনের শাকের দাম। বাজারে এখন লাল ও পালং শাকের মুঠা ১৫ থেকে বাজার ভেদে ২০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। আগের মাস ফেব্রম্নয়ারির শুরুতে বিক্রি হয়েছে ১০ টাকা দরে। ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে লাউ ও পুঁই শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
লেবুর দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। প্রতি হালি লেবুর দাম ধরন ভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই লেবু এক মাসে আগে ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা হালি বিক্রি হয়েছে।