শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২

শেখ হাসিনার শাসনামল দুর্নীতি আর অপশাসনের নজরুল ইসলাম খান

যাযাদি রিপোর্ট
  ১১ মার্চ ২০২৫, ০০:০০
শেখ হাসিনার শাসনামল দুর্নীতি আর অপশাসনের নজরুল ইসলাম খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, শেখ হাসিনা দুঃশাসন টিকিয়ে রাখতে গিয়ে অবাধে দুর্নীতির সুযোগ দিয়েছেন। যাদের দিয়ে দুঃশাসন টিকিয়ে রাখা যায় তাদের এই সুযোগ দেওয়া হয়। অর্থাৎ গত ১৬ বছরে আমাদের সময়টা ছিল দুর্নীতি আর অপশাসনের।

তিনি বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থেকে শুরু করে সেনাপ্রধান আর র্যাব প্রধান বলেন সবার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ। আর তারা কী পরিমাণ দুর্নীতি করেছে তা দেশের মানুষ দেখেছে। পত্রিকায় দেখেছি- বালিশকান্ড থেকে শুরু করে বঁটি কেনা নিয়ে দুর্নীতি এমনকি কেজি দরে ঘুষ নেওয়ার খবর আমরা গণমাধ্যমে জেনেছি।

সোমবার রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম সংকলিত ও সম্পাদিত দুটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান হয়। বই দুইটি হলো 'লিভিং লিজেন্ড-তারেক রহমান:নেতা ও নেতৃত্ব-লুক থ্রম্ন' এবং 'ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দুর্নীতি ও দুঃশাসন'। যা প্রকাশ করেছে শোভা প্রকাশনী।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. ওয়াকিল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ক্ষমতার পরিবর্তন মানে শুধু রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তন নয়। এর মানে হলো- রাষ্ট্র, রাজনীতি ও জনগণের গুণগত পরিবর্তন। তা না হলে জ্ঞানভিত্তিক ও উন্নত সমাজ প্রতিষ্ঠা সহজ নয়। যারা বলেন যে, শুধু ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন হয়নি। সেটি ভুল। এর জন্য আইন এবং প্রয়োজনে সংবিধানও পরিবর্তন করতে হয়।

না পারলে ক্ষমতা ছেড়ে দিন

প্রধান উপদেষ্টাকে দুদু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, শিশু ধর্ষণ হচ্ছে। রাস্তায় যাকে খুশি, যাকে পাচ্ছে কোপাচ্ছে। এজন্য কি গণঅভু্যত্থান হয়েছে? এর জন্য কি আপনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছেন? সামাল দিতে না পারলে ক্ষমতা ছেড়ে দেন।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে ইন্ডিপেন্ডেন্ট মুসলিম পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত 'সারা দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতি, সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীন এবং জনগণ ভোট চায়' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দুদু বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স ৮ মাস চলছে। ডক্টর ইউনূস ক্ষমতায় আসার পরে কিছু কাজ তিনি দ্রম্নত করেছেন। সেজন্যে আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। সেই কাজগুলো হলো- তিনি তার নিজের মামলাগুলো দ্রম্নত প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তিনি তো গণ-আন্দোলনে ছিলেন না। কোনো গণ-আন্দোলনের কারণে তার নামে মামলা হয়নি। কি কারণে হয়েছিল সেটা আর না বলি। তবে তার মামলাগুলো দ্রম্নত প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে