দীর্ঘ ৬ মৌসুম পর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দারুণ প্রত্যাবর্তন হলো আর্সেনালের। বুধবার রাতে 'বি' গ্রম্নপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের ক্লাব পিএসভি আইন্দহোভেনকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল গানাররা। মিকেল আর্তেতার দলের হয়ে গোল করেছেন বুকায়ো সাকা, লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড, গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও মার্টিন ওডেগার্ড। রাতের অপর হাইভোল্টেজ ম্যাচে এমন শিশুসুলভ ভুল করে বসলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা! শেষ পর্যন্ত তার এই ভুলই কি কাল হলো ম্যানইউর? ইংলিশ ক্লাব ম্যানইউকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু করল জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। এছাড়া সালজবুর্গের কাছে ২-১ গোলে বেনফিকা এবং সোসিয়েদাদ ও ইন্টার মিলানের মধ্যকার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে।

ইউরোপের শীর্ষ প্রতিযোগিতায় ছয় বছর পর ফিরেছে আর্সেনাল। প্রথমার্ধে বুকায়ো সাকা, লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড ও গ্যাব্রিয়েল জেসুস গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়। বৃষ্টিস্নাত রাতে দ্বিতীয়ার্ধে আরেকবার জাল কাঁপান অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অভিষিক্ত হওয়া আর্সেনালের একাধিক ফুটবলারের অন্যতম সাকা। ইউরোপের শীর্ষ মঞ্চে খেলতে নেমে ক্লাবের প্রথম গোল করেছেন তিনি। ৮ মিনিটে ওডেগার্ডের শট কিপার ওয়াল্টার বেনিতেজ ফিরিয়ে দিলে খুব কাছ থেকে জালে বল জড়ান সাকা।

আইন্দহোভেন নিজেদের ভুলে দ্বিতীয় গোল হজম করে। তারা বলের দখল হারালে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে সাকার বাড়ানো বলে নিচু শটে ব্যবধান বাড়ান ট্রোসার্ড। ২০ মিনিটে স্কোর ২-০। পরে ট্রসার্ড জেসুসকে দিয়ে ৩৮তম মিনিটে তৃতীয় গোল করান। আগামী রোববার টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে নর্থ লন্ডন ডার্বি মাথায় রেখে আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা দ্বিতীয়ার্ধে সাকা, জেসুস ও ডেকলান রাইসকে মাঠ থেকে তুলে নেন।

তবে তার এই সাহসী সিদ্ধান্তের মাশুল দিতে হয়নি গানারদের। ৭০ মিনিটে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে জাল কাঁপান অধিনায়ক ওডেগার্ড। সামনে আরও কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে মনে করেন এই নরওয়েজিয়ান। আর্সেনাল কোচ আর্তেতা বলেন, 'এটা ছিল সুন্দর রাত। দু'টি বক্সেই আমরা এদিন ছিলাম ব্যতিক্রম এবং এটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।'

লিটনের ফিফটির পরও হার গুলশানের লাঞ্চের আগেই জিতে গেল রূপগঞ্জ

অপরদিকে প্রথমার্ধে ৪ মিনিটে দুই গোল করে বায়ার্ন মিউনিখ। তাতেই জয়ের ভিত যেন তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ২৮ ও ৩২ মিনিটে লেরয় সানে ও সার্জ গিন্যাব্রির গোলে চোট জর্জর ম্যানইউর বিপক্ষে বায়ার্ন চালকের আসনে বসে। ৪৯ মিনিটে রাসমুস হজলুন্ডের ডিফ্লেক্টেড প্রচেষ্টায় একটি গোল শোধ দেয় ম্যানইউ। কিন্তু ৪ মিনিট পর আবার ব্যবধান দুই গোলে বেড়ে দাঁড়ায়। ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের হ্যান্ডবলে পেনাল্টি থেকে ৫৩ মিনিটে গোল করেন বায়ার্নের হ্যারি কেন। শেষ দিকে হয়েছে গোল পাল্টা গোলের খেলা। ৮৮ মিনিটে কাসেমিরো খুব কাছ থেকে ম্যানইউর ব্যবধান কমিয়ে আনেন। বায়ার্নের বদলি খেলোয়াড় মাথিস তেল স্টপেজ টাইমে গোল করে ম্যানচেস্টার ক্লাবের ফেরার আশায় জল ঢালেন। তারপর কাসেমিরো হেড করে আরেকবার জাল কাঁপান (৩-৪)। কিন্তু তা টানা তৃতীয় হার থেকে দলকে বাঁচাতে পারেনি।