সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভুটানের জালে বাংলাদেশের গোল উৎসব

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ উইমেন'স চ্যাম্পিয়নশিপে শুক্রবার নেপালে ভুটানের বিপক্ষে জয়ের পর বাংলাদেশের মেয়েদের উচ্ছ্বাস -বাফুফে

বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি ছিল স্রেফ নিয়মরক্ষার। তবে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ উইমেনস চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষাও ছিল। সেই চাওয়া মেয়েরা পূরণ করল ভুটানকে গুঁড়িয়ে। শুরু থেকে গোলের জন্য মরিয়া নয়, বরং বল পায়ে রেখে আক্রমণভাগে আলপি ও ফাতেমাদের কার্যকর হয়ে ওঠার প্রচেষ্টার প্রতিফলন দেখা গেল বেশি। দারুণ ফলও মিলল তাতে। রাউন্ড রবিন লিগে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ভুটানকে ৬-০ গোলে হারাল সাইফুল বারী টিটুর দল। 

নেপালকে ২-০ গোলে হারিয়ে আসর শুরুর পর ভারতের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। আর এবার কাঠমান্ডুর আনফা কমপেস্নক্সে শুক্রবার ভুটানকে হারিয়ে প্রথম ধাপে সবগুলো ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাস সঙ্গী হলো তাদের। তিন ম্যাচের দুটিতে জয়ী ভারতের বিপক্ষে আগামীকাল (রোববার) শিরোপা লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ।

আগের ম্যাচের একাদশে কোনো পরিবর্তন না এনে ভুটানের বিপক্ষে নামে বাংলাদেশ। ত্রয়োদশ মিনিটে মিলে যায় গোলের দেখা। ফাতিমা আক্তারের লম্বা ক্রস ধরতে সুরভী আকন্দ প্রীতি অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বেরিয়ে যান। ড্রপ খেয়ে ওপরে ওঠা বল হেডে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়ান তিনি। ২৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। কিন্তু ফাঁকা পোস্টে নিজে শট না নিয়ে সতীর্থকে বল বাড়িয়ে সুযোগ নষ্ট করেন সাথী মুন্ডা। তবে একটু পরই দুই মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে ম্যাচে চালকের আসনে বসে বাংলাদেশ।

৩৩তম মিনিটে দৃষ্টিনন্দন একটি গোল করেন ফাতেমা। বক্সের বেশ বাইরে থেকে এই মিডফিল্ডারের নেওয়া ফ্রি কিকে বল হাওয়ায় ভেসে লাফিয়ে ওঠা গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে সরাসরি লুটোপুটি খায় জালে। পরের মিনিটে ফাতেমার কর্নারে দূরের পোস্টে ফাঁকায় থাকা ক্রানুচিং মারমা হেডে খুঁজে নেন ঠিকানা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবারও ভুটানের জালে বল। এবার মৌমিতা খাতুনের আড়াআড়ি ক্রসে প্রীতি পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হলে গোলমুখেই পেয়ে যান সাথী। টোকা দিয়ে বাকি কাজ সারেন তিনি। ৬৮তম মিনিটে দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক দিয়ে বল বাড়ান মৌমিতা। প্রথম ছোঁয়ায় বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডান পায়ের শটে স্কোরলাইন ৫-০ করেন থুইনু মারমা। খানিক পর চকিত মুভে তিন জনকে বোকা বানিয়ে বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলরক্ষককে কোনাকুনি শটে ব্যবধান আরও বাড়ান প্রীতি। আসরে এ নিয়ে তার গোল হলো পাঁচটি। বাকি সময়েও ভুটান পারেনি তেমন কিছু করতে; টানা তিন ম্যাচ হারের তেতো স্বাদ নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ হলো তাদের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে