মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

জিতেই চলেছে মোহামেডান

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
জিতেই চলেছে মোহামেডান

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে এবারের মৌসুমটা দারুণ কাটাচ্ছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এখন পর্যন্ত টেবিলের দ্বিতীয় স্থানটি ধরে রেখেছে তারা। দ্বিতীয় পর্বে দুই ম্যাচ খেলে দু'টিতেই তারা পেয়েছে বড় জয়। শনিবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ৩-১ গোলে হারায় মোহামেডান। অন্যদিকে গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে পুলিশ ফুটবল ক্লাব। ১১ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করল সাদা-কালোরা।

কিংস অ্যারেনাতে ম্যাচের ৮ মিনিটে বক্সের ডান প্রান্তে জটলার মধ্যে থেকে মোজাফফারভের শট চলে যায় বারের ওপর দিয়ে। ১২ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে আরিফের বাড়ানো বল রিসিভ করে ডান পায়ে দারুণ জোড়ালো শট নেন মোজাফফারভ। তবে এবারও পরাস্ত করতে পারেননি রাসেলের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক মিতুল মার্মাকে। ফিস্ট করে আবারও দলকে রক্ষা করেন এই গোলরক্ষক। ২২ মিনিটে সতীর্থের পাসে বল নিয়ে মোহামেডানের বক্সে ঢুকে পড়েন সেকু সিলস্নাহ। তবে জটলার মধ্যে থেকে ঠিকভাবে শট নিতে পারেননি। কর্নারের বিনিময়ে বল ক্লিয়ার করেন প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার। ডান প্রান্তে জাপানি মিডফিল্ডার কোদাই ইদা শর্ট কর্নারে বল দেন চন্দনের পায়ে। সামনে এগিয়ে গিয়ে আবারও বল বুঝে নেন কোদাই ইদা। তার দারুণ ক্রসে পোস্টের কাছে থেকেও মাথা ছোঁয়াতে পারেননি সতীর্থ দুই ফুটবলার বালভানোভিচ ও গ্যানিও আতান্দা। ৩৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মোহামেডানের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ইমানুয়েল সানডের দূরপালস্নার শট বাদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিস্ট করেন শেখ রাসেলের গোলরক্ষক মিতুল মার্মা। বক্সের ভেতরই বল পেয়ে যান মালীর ফরোয়ার্ড সুলেমান দিয়াবাতে। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ফাউল করে বসেন রাসেলের সাগর মিয়া। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। মোহামেডানের অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতের স্পট কিক আশ্রয় নেয় রাসেলের জালে (১-০)। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে (৪৫+৭ মিনিটে) পেনাল্টি পায় শেখ রাসেলও। ইমন বাবুর শট ফেরাতে যান মিনহাজ আবেদিন রাকিব। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে হাতে লাগে রাকিবের। হ্যান্ডবলের সুবাদে পেনাল্টি পায় শেখ রাসেল। সার্বিয়ান বালবানোভিচও ভুল করেননি। ঠান্ডা মাথায় দারুণ স্পট কিকে পরাস্ত করেন গোলরক্ষক সুজনকে (১-১)। ৭৩ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে দূরপালস্নার শটে মোজাফফারভ গোল করে মোহামেডানকে আবারও এগিয়ে দেন (২-১)। ৭৪ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ এসেছিল রাসেলেরও। তবে বালভানভিচের দূরপালস্নার শট চলে গেছে বারের সামান্য উপর দিয়ে। ৭৭ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে প্রথমে বলের জোগানটা দিয়েছিলেন আরিফ। বল বুঝে নিয়ে সুলেমান দিয়াবাতে পোস্ট লক্ষ্য করে যে দুরন্ত গতির শটটি নিয়েছিলেন সেটি নিশ্চিতই ছিল গোল। চলতি বলে পা ছুঁইয়ে গোল নিশ্চিত করেন জাফর ইকবাল (৩-১)। ৮০ মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় শেখ রাসেল। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সেকু সিলস্নাহ। মোহামেডানের মেহদী বল কেড়ে নিতে গিয়ে ফাউল করেন। পড়ে যান সেকু সিলস্নাহ। উঠেই মেহদীর মুখে পাঁচ আঙ্গুল বসিয়ে দেন সেকু। রেফারি সিদ্ধান্ত নিতে একটুও সময় নেননি। প্রথম পর্বে এই দুই দলের লড়াইটা শেষ হয়েছিল ১-১ গোলের সমতায়।

একই দিনে গোপালগঞ্জে শেখ জামালের বিপক্ষে প্রতিশোধের ম্যাচে ড্র করে মাঠ ছেড়েছে পুলিশ ফুটবল ক্লাব। ম্যাচের ১১ মিনিটে ভেনিজুয়েলার ফরোয়ার্ড এডওয়ার্ড মরিলেস্নার গোলে লিড নেয় পুলিশ (১-০)। ৪৪ মিনিটে ফাহাদ রহমানের জোগান দেওয়া বলে লক্ষ্যভেদ করে জামালকে সমতায় ফেরান আবু তোরে (১-১)। ৬০ মিনিটে গোলের জোড়া পূর্ণ করেন সেনেগালের এই ফরোয়ার্ড। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ৭৫ মিনিটে ফরোয়ার্ড আল আমিনের গোলে ম্যাচে আবারও সমতা আনে পুলিশ ফুটবল ক্লাব (২-২)। এই ব্যবধানেই শেষ হয় ম্যাচ। প্রথম পর্বে জামালের কাছে ১-০ গোলে হেরে গিয়েছিল পুলিশ। এই দু'টি ম্যাচ দিয়েই শেষ হলো লিগের ১১তম রাউন্ড। ১২ রাউন্ড শুরু হবে ঈদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষে ১৯ এপ্রিল থেকে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে