ব্যাট হাতে নিজের নামের পাশে সুবিচার করতে পারেননি, তবে বল হাতে ছিলেন উজ্জ্বল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে তেমন কিছু করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপের আগে ব্যাটিং ঘাটতি হয়ত অনুভব করছিলেন প্রবলভাবে। রোববার মিরপুরে ম্যাচ শেষ করে সেন্টার উইকেটে ব্যাটিং অনুশীলনে নামেন এই তারকা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামে প্রথম তিন ম্যাচ না খেলে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলেন সাকিব। মিরপুরে শুক্রবার চতুর্থ ম্যাচে ৩ বলে ১ রান করে বোল্ড হন। গতকালও বড় রান করা হয়নি তার। ১৭ বলে ১ ছক্কায় ২১ রান করে আউট হন তিনি।
সিরিজে নিজের প্রথম ম্যাচে শেষ ওভারে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জিতিয়েছেন, সব মিলিয়ে নেন ৪ উইকেট। গতকাল বল হাতে মাত্র ৯ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। ব্যাট হাতে ছন্দে না থাকলেও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর রয়েছে পূর্ণ আস্থা, 'তার (সাকিবের) ব্যাটিং নিয়ে আমাদের পুরো টিমের কোনো কনফিউশন নাই। আমরা সবাই জানি, উনি কতটা দক্ষ এবং আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী যে, সামনে যে টুর্নামেন্ট বা সিরিজটা আছে, উনি ব্যাটিংয়ে টিমের হয়ে কন্ট্রিবিউট করবেন।'
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এদিন ১৫৭ রান করে ৮ উইকেটে ম্যাচ হারে স্বাগতিক দল। সিকান্দার রাজা ও ব্রায়ান বেনেটের ব্যাটের ঝাঁজে হারার পর পুরস্কার বিতরণীর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হতেই সাকিব প্রস্তুত হয়ে ঢুকেন মাঠে। সেন্টার উইকেটে নেটে থ্রো ডাউনে বড় শটের প্রস্তুতি নিতে দেখা যায় তাকে। এ সময় সাকিবের ব্যাটিং তদারকিতে ছিলেন ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প। দুপুর ২-২৫ মিনিট পর্যন্ত নেটে ব্যাট করে বেরিয়ে যান তিনি।
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় চোখের সমস্যায় পড়েন সাকিব। চোখের সমস্যায় বিপিএলে শুরুতে ব্যাট করতেও ভুগেন তিনি। চিকিৎসা করিয়ে ছন্দ পেয়ে রানও করেন। তবে বড় মঞ্চে তার ব্যাটে অস্বস্তি থাকবে কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
সামনে বিশ্বকাপ, ক্যারিয়ারের শেষ টি২০ বিশ্বকাপ সাকিব চাইবেন নিজের সেরাটা দিয়েই শেষটা রাঙাতে। তাই হয়ত ব্যাট হাতে সেরাটুকু দেওয়ার তাড়না থেকে নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছেন একটু সময় পেয়েই।
সবকিছু ঠিক থাকলে টানা নবম টি২০ বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন সাকিব। বোলিংয়ের পাশাপাশি তার ব্যাটিং ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।