চলতি টি২০ বিশ্বকাপের আগে ছন্দে ছিল না বাংলাদেশ দল। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টি২০ সিরিজও হেরেছে টাইগাররা। তবে বিশ্বকাপ শুরু হতেই জ্বলে উঠেছে তারা। গ্রম্নপপর্বের বাধা পেড়িয়ে সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানরা নিজেদের কাজটা না করতে পারলেও, বোলাররা বেশ ভালো করেছে। আর ফিল্ডিংয়েও বাংলাদেশ দল ছিল দুর্দান্ত, যা উঠে এসেছে খেলাধুলা নিয়ে বিশ্লেষণ করা প্রতিষ্ঠান অপটার পরিসংখ্যানে।
চলমান এই আসরে ইতোমধ্যেই গ্রম্নপ পর্ব শেষ হয়েছে। যেখানে মোট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে ৪০টি। গ্রম্নপপর্ব শেষে দলগুলোর ক্যাচ নেওয়ার সফলতার হারে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। হার প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। যে তালিকায় সবার উপরে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে যৌথভাবে আছে বাংলাদেশ। তবে অবাক করা বিষয় শীর্ষ দশে জায়গা হয়নি এশিয়ার দুই শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের।
পাকিস্তান গ্রম্নপ পর্বে বাদ পড়লেও দাপটের সঙ্গে সুপার এইটে উঠেছে ভারত। কিন্তু তবুও তাদের জায়গা হয়নি এই তালিকায়। টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের বোলাররা মোট ২১ বার ক্যাচের সুযোগ তৈরি করেছেন। যেখানে ২০বার তালুবন্দি করতে পেরেছেন ফিল্ডাররা। মাত্র একবার ক্যাচের সুযোগ হাতছাড়া করেছে টাইগাররা। ফলে আসরে বাংলাদেশের ক্যাচ নেওয়ার সাফল্যের হার ৯৫.২ শতাংশ। একই পরিসংখ্যান নেদারল্যান্ডসের ক্ষেত্রেও।
এছাড়া ৯০ শতাংশের বেশি ক্যাচ নেওয়ার সাফল্যের হার কেবল ওয়েস্ট ইন্ডিজের (৯১.৩%)। ২৩টি ক্যাচের মধ্যে ২১টি তালুবন্দি করতে পেরেছে ক্যারিবিয়ানরা। বিপরীতে দুইবার সুযোগ হাতছাড়া করেছে তারা। সবচেয়ে বেশি ৮টি ক্যাচ মিস করেছে অস্ট্রেলিয়া। সাতবার করে সুযোগ হাতছাড়া করেছে পাকিস্তান ও ওমান।
বিশ্বকাপে একনজরে ক্যাচ ধরার সাফল্যের হার- ১. বাংলাদেশ- ৯৫.২ শতাংশ, ২. নেদারল্যান্ডস- ৯৫.২ শতাংশ, ৩. ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ৯১.৩ শতাংশ, ৪. আয়ারল্যান্ড- ৮৮.২ শতাংশ, ৫. শ্রীলংকা- ৮৫.৭ শতাংশ, ৬. নামিবিয়া- ৮৪.৬ শতাংশ, ৭. দক্ষিণ আফ্রিকা- ৮৪ শতাংশ, ৮. যুক্তরাষ্ট্র- ৮৩.৩ শতাংশ, ৯. নিউজিল্যান্ড- ৮১.৮ শতাংশ, ১০. আফগানিস্তান- ৮০ শতাংশ।