আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের তৃতীয় রাউন্ডের খেলা। আজ লিগে দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ২.৩০ মিনিটে গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে ফর্টিস এফসির মুখোমুখি হবে ফকিরেরপুল ইয়ংম্যান্স ক্লাব। একই সময়ে মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেড খেলবে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনের কারণে কিছুটা পিছিয়ে শুরু হয়েছে এবারের ফুটবল মৌসুম। নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মাঠের দিকে তেমন নজর দিতে পারেননি বাফুফের কর্মকর্তারা। নতুন কমিটি এসেই মাঠে বল নামিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই অনেকটা অনুপোযোগী মাঠেই গড়িয়েছে ফুটবল। গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামের অবস্থা সন্তোষজনক নয়। মাঠের অনেক জায়গাতেই ঘাস নেই। কুমিলস্নার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামের অবস্থা খুবই খারাপ। এই মাঠ নিয়ে অনেক অভিযোগ ক্লাবগুলোর। যে মাঠে ইনজুরির ঝুঁকি নিয়েই খেলতে হচ্ছে ফুটবলারদের। তাই মাঠগুলোর বেহাল দশায় মৌসুমের শুরুতেই ইনজুরির ঝুঁকিতে ফুটবলাররা। এরই মধ্যে কুমিলস্নার মাঠে খেলে ছোটখাটো ইনজুরিতেও পড়েছেন বেশ কয়েকজন ফুটবলার। ক্রিকেট পিচ তুলে ফেলে অনেকটা তড়িঘড়ি করেই কুমিলস্নার মাঠে খেলা শুরু করা হয়েছে। যা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে বাফুফের নতুন কমিটি। বুধবার বাফুফের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে উঠে এসেছিল মাঠের বিষয়টিও। নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু জানিয়েছেন আগামী ৭ দিনের মধ্যেই মাঠ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ বিষয়ে মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান বলেছেন, 'আমাদের গ্রাউন্ডস কমিটি সাত দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ করা হবে। সব মিলিয়ে আরও চারটি কমিটি করা হবে। সাত দিনের মধ্যে তারা আমাদের সঙ্গে বসবেন এবং যে সিদ্ধান্ত হবে, তা আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।' শুধু মাঠই নয় বুধবার নির্বাহী কমিটির সভায় বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী জাতীয় ফুটবল দলের কোচের চুক্তির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যেই পুরুষ দলের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ও নারী দলের কোচ পিটার বাটলারের চুক্তি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত আসবে বলেও জানা গেছে। এই দুই কোচের সঙ্গেই বাফুফের চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর।
এছাড়া রেফারিজ একাডেমি স্থাপন, রেফারিদের ভাতা বৃদ্ধিসহ ২৯টি জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটি ভেঙে অ্যাডহক কমিটি গঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী মেয়েদের হাতে পূর্ব ঘোষিত দেড় কোটি টাকা অর্থ পুরস্কারের ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।