শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ডিএসইতে লেনদেন বাড়লেও সিএসইতে কমেছে

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
ডিএসইতে লেনদেন বাড়লেও সিএসইতে কমেছে

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে অর্থাৎ ২৬ থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। গেল সপ্তায় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা। সপ্তাহটিতে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন কমেছে।

গত সপ্তাহে আলোচিত বিষয় ছিল ১৬৯ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস পুনঃবহাল। বিনিয়োগকারীদের আন্দোলন ও সমালোচনার মুখে এসব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস পুনরায় আরোপ করা হয়। বৃহস্পতিবারই ফ্লোর প্রাইস কার্যকর হয়। এতে বড় ধরনের পতন থেকে রক্ষা পেয়েছে।

সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৩ হাজার ১১৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬২ হাজার ২২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৮৮৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

গেল সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৭৮৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৯২ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৭০১ কোটি ৪২ লাখ টাকা বা ৬৪ দশমিক ২০ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৫৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ২৭৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৫৬টির, দর কমেছে ১১১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৫টি কোম্পানির। লেনদন হয়নি ২৮টি কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স উত্থানে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইএক্স ৮.৬৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৬২১৩ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১.৪৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ১৩৫৭ দশমিক ২৯ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৫.০৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ২২১৬ দশমিক ২৯ পয়েন্টে।

এদিকে গেল সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪.৩২ পয়েন্টে। যা আগের সপ্তাহের শেষে একই ছিল। গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই ১৪.৩২ পয়েন্টে।

গেল সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৭০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। এছাড়া বি ক্যাটাগরির ৩০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর টপটেন লেনদেনে রয়েছে। সপ্তাহটিতে মোট লেনদেনের ৪০ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার। এ কোম্পানির মোট শেয়ারের ৬.৩০ শতাংশ লেনদেন করেছে।

এছাড়া বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ৫.৪৬ শতাংশ, এডিএন টেলিকম ৫.১৪ শতাংশ, সি পার্ল বিচ ৪.৯৪ শতাংশ, শাইনপুকুর সিরামিক ৪.৮৪ শতাংশ, জেমিনি সি ফুড ৩.২ শতাংশ, আমরা নেটওয়ার্কস ৩.০২ শতাংশ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ২.৯১ শতাংশ, আল-হাজ টেক্সটাইল ২.৫৯ শতাংশ এবং ওরিয়ন ইনফিউশন ২.৪৪ শতাংশের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ৩১.৬৪ শতাংশ। শেয়ারবাজারে মূলধনের পরিমাণ কমেছে ৮৪৯ কোটি টাকা। একটি বাদে বাকি পাঁচ ধরনের সূচক কমেছে। সিকিউরিটিজ হাউসগুলোতে বিক্রেতার চাপ ছিল বেশি।

সিএসইর সূত্র মতে, গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৭ কোটি ৬ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৬৭৬ কোটি ৬২ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৮৪৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ২০ কোটি ৫ লাখ টাকা বা ৩১ দমমিক ৬৪ শতাংশ। তালিকাভুক্ত ২৩২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৩৩টির, দর কমেছে ৯৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১০৩টি কোম্পানির।

একটি বাদে বাকি পাঁচ ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক সিএএসপিআই দশমিক ২৮ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ২৮২ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই৫০ সূচক দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, সিএসই৩০ সূচক দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, সিএসইসিএক্স সূচক দশমিক ২৬ শতাংশ, সিএসইআই সূচক দশমিক ২৩ শতাংশ এবং সিএসই এসএমইএক্স ৬ দশমিক ১৮ শতাংশ কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩২৪ দশমিক ২৩ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩০২ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে, ১০ হাজার ৯৬১ দশমিক ৫২ পয়েন্টে, ১ হাজার ১৫৪ দশমিক ২৩ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৫৯৭ পয়েন্টে।

গেল সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৯০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। বি ক্যাটাগরির ১০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর টপটেন লেনদেনে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে রূপালী লাইফ ইন্সু্যরেন্সের শেয়ার। একাই ৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে