রোববার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

আইএমএফের হিসাবে এখন দেশের রিজার্ভ ১৯.৯৫ বিলিয়ন ডলার

প্রতি মাসে পণ্য কেনা বাবদ প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
  ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
আইএমএফের হিসাবে এখন দেশের রিজার্ভ ১৯.৯৫ বিলিয়ন ডলার
আইএমএফের হিসাবে এখন দেশের রিজার্ভ ১৯.৯৫ বিলিয়ন ডলার

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কমেনি বা বাড়েনি। এতে গত বৃহস্পতিবার কার্যদিবস শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় তা স্থির হয়েছে ১৯ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেশের রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের পদ্ধতি বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। এর মানে এ সপ্তাহের মধ্যে রিজার্ভ স্থিতিশীল আছে।

এছাড়া দেশের আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণকারী সর্বোচ্চ সংস্থার নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। এটি শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই মেথডে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার। এ দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

মূলত প্রতি মাসে পণ্য কেনা বাবদ প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। সাধারণত একটি দেশের নূ্যনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদন্ডে বাংলাদেশ বর্তমানে শেষ প্রান্তে রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে এখনো ডলার সংকট বিদ্যমান। ফলে মুদ্রাবাজার পরিস্থিতি ঠিক রাখতে রিজার্ভ থেকে প্রচুর ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল শোধ করা হচ্ছে। ছোট আমদানি ব্যয় মেটানো হচ্ছে। সেই তুলনায় রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম রয়েছে। ফলে রিজার্ভ তুলনামূলকভাবে কমছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেই গতি শ্লথ আছে। অর্থাৎ সঞ্চিত অর্থের ক্ষয় রোধ করা যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে