রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

মধ্যপ্রাচ্যের ৬ দেশ এক ভিসাতেই সফরের সুযোগ

যাযাদি ডেস্ক
  ০৬ মে ২০২৪, ২৩:৫৯
ছবি সংগৃহিত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যের নীতির কারণে অনকে কিছু বদলে যেতে শুরু করেছে। ইরান-সৌদি আরবের বিরোধ নিরসনের পর এবার হামাস ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষরে মধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা। আশা করা হচ্ছে চীনের সহযোগিতায় এতেও সফলতা আসবে। আর যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে যায় হামাস ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ তাহলে সেটি হবে ঐতিহাসিক ঘটনা।

এদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত ২৭ দেশের মধ্যকার শেনজেন ভিসার মতো এবার নতুন ভিসা পদ্ধতি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল বা জিসিসিভুক্ত মধ্যপ্রাচ্যের ছয় দেশ। ‘ইউনিফায়েড ট্যুরিজম ভিসা’ বা একক ভিসা ব্যবস্থার আওতায় রয়েছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ওমান, কুয়েত ও কাতার।

গতকাল স্থানীয় সময় সোমবার (৬ মে) সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন তৌক আল মারি বিশেষ এই ভিসার উদ্বোধনীর দিনে এসব ঘোষণা করেন। অ্যারাবিয়ান ট্রাভেল মার্কেট-এর আওতাভুক্ত নতুন এই ভিসায় ছয় দেশে ৩০ দিনের বেশি অবস্থান করা যাবে। খবর গালফ নিউজ।

তিনি বলেন, 'ভ্রমণকে সহজীকরণ এবং পর্যটককে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। জিসিসি একটি ইউনিফাইড ট্যুরিস্ট ভিসাকে সবুজ সংকেত দিয়েছে যা পর্যটকদের ছয়টি দেশেই ভ্রমণ করতে দেবে। জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুর নামের এই ভিসা সুবিধা সফল করতে আমরা একযোগে কাজ করছি।'

এর আগে গত বছর নভেম্বরে সর্বসম্মতিক্রমে এ অঞ্চলের জন্য প্রস্তাবিত ‘ইউনিফায়েড ট্যুরিজম ভিসা’ বা একক ভিসা ব্যবস্থার অনুমোদন দেয় জিসিসিভুক্ত ছয় দেশ। এর ফলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাতে সূচনা হলো নতুন এক যুগের।

গত বছর নভেম্বরে আবুধাবি-ভিত্তিক সংবাদমাদ্যম দ্য ন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে জানায়, সম্প্রতি ওমানে জিসিসি মন্ত্রীদের ৪০তম বৈঠকের পর সংস্থাটির মহাসচিব জসিম আল বুদাউই একক ভিসা ব্যবস্থায় অনুমোদনের ঘোষণা দেন।

২০২৪ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ছয় দেশের ব্লকজুড়ে এ ব্যবস্থা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তারা। এ ঘোষণার পর জসিম আল বুদাউই বলেন, ইউনিফায়েড গালফ ট্যুরিস্ট ভিসা এমন একটি প্রকল্প, যা জিসিসির ছয়টি দেশের মধ্যে বসবাসকারী ও পর্যটকদের চলাচল আরও সহজ করতে অবদান রাখবে। অর্থনৈতিক ও পর্যটন খাতেও নিঃসন্দেহে এ প্রকল্পের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন তৌক বলেছিলেন, ইউনিফায়েড ভিসা হলো জিসিসির ২০৩০ লক্ষ্যমাত্রা পূরণের অন্যতম প্রধান উপাদান। এর মূল লক্ষ্য, ভ্রমণ খাতকে সম্প্রাসারিত করার মাধ্যমে অর্থনীতির চাকা গতিশীল করা।

নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের এই ছয় দেশে পর্যটক সংখ্যা ১২ কোটিতে উন্নীত করতে চায় জিসিসি। এইচএসবিসির তথ্যানুসারে, বৈশ্বিক অর্থনীতির খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও ভালো অবস্থানে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের পর্যটন খাত। বিশেষ করে, করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে এই খাত থেকে আয় বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জিসিসির একক ভিসা ব্যবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ‘গেম চেঞ্জার’ হবে বলেই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে