বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে চা চাষের ওপর হাতে কলমে প্রশিক্ষণ

তপু সরকার হারুন, শেরপুর প্রতিনিধি
  ২২ ডিসেম্বর ২০২০, ১৮:৩৩

শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় অঞ্চলে চা-বাগানে পাতা চয়ন, পোকামাকড়-রোগবালাই দমন বিষয়ে ক্ষুদ্র চা-চাষিদের জ্ঞান ও পরামর্শ দেওয়ার লক্ষ্যে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ঝিনাইগাতী উপজেলার পশ্চিম বাকাকুড়া ও শ্রীবরদী উপজেলার ঝোলগাঁও এলাকার চা-বাগানে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত পৃথক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘গারো হিলস টি কোম্পানি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমজাদ হোসেন ফনিক্স।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সুবর্না সরকার। এ সময় চাষিদের চা চাষবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য ও পরামর্শ দেন শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. তৌফিক আহম্মদ এবং ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও নর্দান বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন।

চা চাষের প্রশিক্ষণ, চারা লাগানো থেকে শুরু করে সবুজ পাতা উত্তোলন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলেন চা বোর্ডের কর্মকর্তারা। শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী জানান, বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্তৃক ৭৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০০ হেক্টর জমিতে চা চাষ সম্প্রসারণের জন্য ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় ক্ষুদ্রায়তন চা চাষ সম্প্রসারণ’ নামে একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

ওই প্রকল্পের আওতায় শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি, শ্রীবর্দী, নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলার ১৫০ হেক্টর জমিতে ক্ষুদ্রায়তন চা আবাদ সম্প্রসারণ করা হবে। আরও জানান, জামালপুর, শেরপুরসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে চা আবাদের সম্ভাবনা বিষয়ে ২০০৪ এবং ২০১৯ সালের পৃথক সমীক্ষায় দেখা যায়, বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৫টি জেলার ১৫টি উপজেলায় মোট ১৩ হাজার ৬৪৫ একর জমিতে চা আবাদ সম্ভব। ওই জমি চা আবাদের আওতায় আনা হলে বছরে এ অঞ্চল থেকে ১৬.৩৭ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে