বরগুনার তালতলী উপজেলায় আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়কের কচুপাত্রা বাজার সংলগ্ন কচুপাত্রা খাল ও সড়কের দুই পাশে সরকারী জমি দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ১২৩টি বসত ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বুধবার সকালে উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন। এর মধ্যে একটি বহুতলা ভবনও রয়েছে। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওসার হোসেন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর অহম্মদ ।

জানা গেছে, তালতলী উপজেলার আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়কের শারিকখালী ইউনিয়নের কচুপাত্রা বাজার সংলগ্ন কচুপাত্র খাল ও সরকারী জমি দখল করে আধা পাঁকা টিনের ঘর ও বহুতল ভবন উঠিয়ে দখল করে স্থানীয় এক শ্রেণির প্রভারশালী মহল। খাল দখল করে ঘর নির্মান করায় খালের গতিপথ সংকুচিত হওয়ায় নাব্যতা সংকটের কারনে পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় সঠিক ভাবে পানি না পাওয়ায় কৃষি কাজে বিঘ্ন ঘটছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। খাল দখল করে অবৈধ ভাবে আধাপাকা ঘর নির্মান করায় খালটি এখন মরা খালে পরিনত হয়েছে।

আমতলীতে প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনী 

অন্যদিকে বাজারের সরকারী খাস জমি দখল করে স্থানীয় বৈদ্য ডাক্তার নামে একজন বহুতল পাকা ভবনসহ একাধিক স্থাপনা নির্মান করায় বাজারের সকল জমি বেদখল হয়ে যায়। তাছাড়া স্থানীয়দের দাবীর প্রেক্ষিতে খালের পাড় এবং বাজারের সকল অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর বরগুনা জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে নোটিশের মাধ্যমে তাদেরকে ৭ দিনের মধ্যে অবৈধ ১২৩টি স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। দখলদাররা নোটিশ আমলে না নিয়ে জবরদস্তি করে এতদিন বসবাস করে আসছে। তারা সরকারী আইনের প্রতি তোয়াক্কা না করে উচ্ছেদ প্রতিরোধে একটি সংগ্রাম কমিটিও গঠন করেন। সকল বাধা অতিক্রম করে বুধবার সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে সকল অবৈধ স্থাপনা ভেকু দিয়ে গুরিয়ে দেওয়া হয়।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাওসার হোসেন ও বরগুনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর আহম্মদ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময়আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাওসার হোসেন জানান, সরকারী খাল এবং বাজারের সরকারী জমি অবৈধ ভাবে দখল করে আধা পাকা এবং একটি বহুতল ভবনসহ গড়ে তোলা ১২৩ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

যাযাদি/এসআই