গাজীপুর সদর উপজেলাধীন ইকবাল সিদ্দিকী কলেজ ক্যাম্পাসে এক ভিন্ন ধরনের পিঠা উৎসব অনুষ্টিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটি পরিচালিত ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কচি-কাঁচা একাডেমি ও নয়নপুর এন এস আদর্শ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকদের তৈরি বাহারি পিঠা নিয়ে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
তরুন প্রজন্মকে বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহী নানান রকম পিঠাপুলির সাথে পরিচিত করানোর উদ্দেশ্যে আয়োজিত এই পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলার প্রবীণ শিক্ষক সুনীল চন্দ্র সেন।
উৎসবে এসে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জেসমিন আক্তার মনি তার অনূভুতি ব্যক্ত করে বলে, এক রকম পিঠা নিয়ে এসে নানানরকম পিঠা খেলাম, অনেক নতুন নতুন পিঠার নাম জানলাম। আমি অভিভূত।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আদিনা সোমনা তাসফিয়া বলেছে, তিন প্রকারের পিঠা নিয়ে এসে অনেক ধরনের পিঠা খেয়েছি এবং অনেক নতুন নতুন পিঠা চিনেছি।
উৎসবে উল্লেখযোগ্য পিঠার মধ্যে ছিলো পাটি সাপটা, ভাঁপা পিঠা, নকশি পিঠা, মাংস পুলি, দুধ পুলি, নারকেল পুলি, দুধচিতই, দুধপোয়া, ঝালপোয়া, মালপোয়া, সেমাই পিঠা, ডিম পিঠা, মাংস-ঝাল পিঠা, লবঙ্গ লতিকা পিঠা, জামাই পিঠা, রুট পিঠা, থামি পিঠা, অঙ্কন পিঠা, চিরুনি পিঠা, ঝিনুক পিঠা, দুধ গুগল, বিস্কুট পিঠা, সমুচা পিঠা, ছিটা পিঠা এবং সুজির হালুয়া। এমন বাহারি নামের হরেকরকম পিঠার সমারোহ ছিলো উৎসবে।
ব্যতিক্রমী এই পিঠা উৎসবে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শ্রেণিভিত্তিক ১৫টি স্টলে কোন পিঠা অর্থের বিনিময়ে বিক্রি হয়নি। শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকরা পিঠা জমা করে একটি শুভেচ্ছা কুপন সংগ্রহ করে এবং সেই কুপন যেকোনো স্টলে জমা দিয়ে পছন্দমত প্রত্যেক পদের পিঠার স্বাদ গ্রহণ করে। উৎসবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত ছিল।
যাযাদি/ এস