শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সীমান্তে মাদক চোরাচালান, অপরাধ দমনে নাফনদীতে বিজিবি- বিজিপি'র যৌথ টহল

টেকনাফ প্রতিনিধি
  ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৫২

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মাদক, চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশ সীমান্তে নানা অপরাধ দমনের লক্ষ্যে নাফ নদীতে বর্ডার গার্ড বিজিবি ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি'র মধ্যে অধিনায়ক পর্যায়ে যৌথ টহল শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফ (২ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার।

তিনি জানান, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে সীমান্ত ব্যবস্থাপনার সকল প্রকার প্রটোকল মেনে নাফ নদীর শূন্য লাইনে বিজিবি-বিজিপি পর্যায়ে যৌথ টহল পরিচালনা করা হয়। উক্ত যৌথ টহলে ১২ সদস্য বিশিষ্ট বিজিবি টহল দলের নেতৃত্ব দেন টেকনাফ (২ বিজিবি) ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার এবং মিয়ানমার বিজিপি’র ১২ সদস্যের টহল দলের নেতৃত্ব দেন বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চ (১) বিজিপি'র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল ইয়ে ওয়াই শো।

বিজিবি'র অধিনায়ক আরো জানান, গত ২৫ মার্চ ২০২০ হতে প্রায় ৩ বছর বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এবং ২০২২ সালের জুলাই মাস হতে মায়ানমার সীমান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে উভয় দেশের মধ্যে যৌথ টহল বন্ধ ছিল যা সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় বিরুপ প্রভাব ফেলছিল। এরই প্রেক্ষিতে উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ঐকান্তিক ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় এবং গত ৩০ অক্টোবর ২০২২ বিজিবি-বিজিপি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে উভয় দেশের সম্মতিতে সীমান্তে সার্বক্ষণিক নজরদারীর লক্ষ্যে এই যৌথ টহল শুরু করার পরিকল্পনা করা হয়।

যার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে যৌথ টহল পরিচালনার কার্যক্রম শুরু করে। যৌথ টহল পরিচালনার ফলে নাফ নদীতে যে সকল দ্বীপ বাংলাদেশ-মায়ানমার আন্তর্জাতিক সীমারেখা বরাবর অবস্থিত এবং যে সকল দ্বীপসমূহ মাদক, চোরাকারবারী অথবা দুস্কৃতিকারী দল এর অভয় আশ্রম হিসেবে ব্যবহার হতো উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সমূহের উপস্থিতিতে সে সকল দ্বীপসমূহে স্ব-স্ব সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে। ভবিষ্যতেও দুটি বন্ধু প্রতীম রাষ্ট্রের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর যৌথ টহল কার্যক্রম চলমান থাকবে। উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী এই যৌথ টহল কার্যক্রম চলমান রাখার মাধ্যমে নিজস্ব সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে পারবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করছে।

এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে