শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনায় বাঘের চামড়াসহ ২ বাঘ শিকারি গ্রেপ্তার

খুলনা অ‌ফিস
  ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৩:১০

খুলনায় র‌্যা‌বের অ‌ভিযা‌নে র‌য়েল বেঙ্গল টাইগার চামড়াসহ ২ বাঘ শিকারিকে গ্রেফতার ক‌রে‌ছে র‌্যাব ৬। সুন্দরবনের বন্যপ্রানী সংরক্ষনের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করে এবং বন্যপ্রানী শিকার ও পাচারকারীদের আইনের আওতায় এনে র‌্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইড হিসেবে ঘোষণা করে। এই সুন্দরবনে আছে বিশ্ব বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার। কিছু অসাধু শিকারীর কারণে রয়েল বেঙ্গল টাইগার আজ বিলুপ্তপ্রায়। ১ নভেম্বর ২০১৮ তারিখ প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সুন্দরবনকে জলদস্যু মুক্ত ঘোষণার পর থেকে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য পুনরায় ফিরে এসেছে এবং সুন্দরবনে হরিণ, বাঘসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সুযোগকে ব্যবহার করে কিছু দুষ্কৃতিকারী বণ্যপ্রাণী শিকারসহ এদের চামড়া ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিভিন্ন মাধ্যমে দেশে বিদেশে পাচার করছে। র‌্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রানী অবৈধভাবে কৌশলে শিকার করে এদের চামড়া ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চোরাচালানের মাধ্যমে পাচার করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) র‌্যাব-৬, (সাতক্ষীরা ক্যাম্প) এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানা এলাকায় পাচারকারী চক্রের কতিপয় সদস্য বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ১টি চামড়া পাচার করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।

প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আভিযানিক দলটি একই সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানাধীন হরিণনগর ধল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসা, মোঃ হাফিজুর শেখ (৪৭), মোঃ ইসমাইল শেখ (২৪) থানা-শ্যামনগর, জেলা-সাতক্ষীরাদেরকে গ্রেফতার করে।

এ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে গ্রেফতারকৃত আসামিদের হেফাজত হতে ১টি বাঘের চামড়া উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা স্বীকার করে তারা মাছধরা ও গোলপাতা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সুন্দরবনে প্রবেশ করে ছাগলের মাংসের মধ্যে বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার করে রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রানী শিকার করে।

পরবর্তীতে রয়েল বেঙ্গল টাইগার এর চামরা দেশে ও দেশের বাহিরের সৌখিন মানুষদের নিকট কোটি টাকা মূল্যে বিক্রয় করে। পাচারকারী চক্রের অন্যান্য সদস্যদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে র‌্যাবের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। গ্রেফতাকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে।

এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে