বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী-বাইনতলা পাঁকা সড়কের ৫৯০মিটার সড়ক চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের বড় বড় গর্তে পানি জমে থাকে। সড়কটি এমন অবস্থার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন এলাকাবাসী। এলজিইডি বিভাগ বলছেন বরাদ্ধ আসলে সড়কটি সংস্কার করা হবে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার কাটাখালী-বাইনতলা সড়কের কাটাখালী থেকে লকপুর জলছত্র পর্যন্ত প্রায় ৫৯০ মিটার সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তে ভরে গেছে। সামন্য বৃষ্টি হলেই পানিতে ভরে এক ভূতুরে অবস্থার সৃষ্টি হয়। পথচারী সহ যানবাহন চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে এখানকার বেশীর ভাগ মানুষ ভিন্ন পথ দিয়ে যাতায়াত করছেন।
সড়কের এমন বেহাল দশার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন এলাকাবাসী। তারা জানান, খুলনা-মোংলা রেললাইন করার সময় এই সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহনে করে বিভিন্ন মালামাল ও জিনিসপত্র নিয়ে যাতায়াত করার ফলে সড়কে এমন খানা-খন্দরে ভরে গেছে। এখন বৃষ্টি হলেই গর্তগুলো পানিতে ভরে যায়। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সড়কটি আরো বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হেেচ্ছ।
স্থানীয় মো. সেলিম শেখ, সিরাজ শেখ ও অসিম ঘোষসহ অনেকে জানান, ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ন এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করেন। পাশাপাশি অনেক যানবাহন চলাচল করে থাকে। এছাড়া কমলমতি শিক্ষার্থী সহ নানা বয়ষের মানুষ এখান থেকে কাটাখালী, খুলনা, বাগেরহাট, মোংলা, গোপালগঞ্জ, বটিয়াঘাটা সহ বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে থাকেন। অবিলম্বে সড়কটি সংস্কারের দাবী জানান তারা।
ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ জানান, খুলনা-মোংলা রেললাইন করার সময় ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে ওই সড়ক সহ বিভিন্ন সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে সড়কগুলো ঠিক করা হবে।
ফকিরহাট উপজেলা প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান বলেন, খুলনা-মোংলা রেল লাইন করার সময় মালবাহী যানবাহন চলাচলের কারনে সড়কটি এমন অবস্থার সৃষ্টি হেেয়ছে। সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে সড়কের ইষ্টিমেট পাঠানো হয়েছে। বরাদ্ধ আসলে সড়কটি সংস্কার করা হবে। তিনি আরো বলেন, সড়কের দুই পাশে অনেক দোকান ও বাড়ি-ঘর রয়েছে। কিন্তু দুই পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের উপর পানি জমে থাকে। যে কারনে পানি নিস্কাশনের ব্যস্থা না থাকায় সড়কটি আরো বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যাযাদি/ এস