রোববার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

কেন্দুয়ার বসত বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও হামলা

কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি
  ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৪:০২
কেন্দুয়ার বসত বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও হামলা
কেন্দুয়ার বসত বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও হামলা

নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের মনকান্দা গ্রামে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও ভয় ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা ঘটেছে ।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মনকান্দা পূর্ব পাড়া গ্রামের মোঃ শান্ত মিয়ার একমাত্র ছেলে সাবিক হত্যার জেরে তৃতীয় বারের মতো ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও ভয় ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা ঘটে বলে ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ।

মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মামলার এজহার ভুক্ত আসামী আজিজুল সহ জাহের উদ্দিন, মুসলেম উদ্দিন ও সবুজ মিয়ার বসত বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে । তাছাড়া বাদী পক্ষের চাপে আজিজুলের দাদি রাবিয়া (৭০) নিজ বাড়ি ও আশেপাশে না থাকার সিদ্ধান্ত দেয় গ্রাম্য সালিসি ।

সাবিক হত্যা মামলার এক নাম্বার আসামীর ফুফু রেহানা বেগম জানান, পূর্বপাড়া গ্রামের লোকজন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে দল বেঁধে ২ নভেম্বর আমাদের বাড়িতে প্রথম হামলা করে । ওই দিন গোয়াল ঘর থেকে আমাদের তিনটি গরু ও বসতঘর থেকে অন্যান্য আসবাবপত্র লুট করে । ৪ ও ২৫ নভেম্বর ফের হামলা ও ভাংচুর করে এবং দুটি গরু সহ ঘরের আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায় । প্রতক্ষদর্শিরা আরো জানান, আজিজুলের ঘর ভাংচুরের পর ঘর থেকে তিনটি সুকেস, খাট, ডাইনিং টেবিল, ড্রেসিং টেবিল, ওয়াল টিভি, ফ্রীজ, ধান-চালসহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় । এসময় তারা জাহের উদ্দিনের বসত ঘরটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে সেই ঘর থেকেও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় । তারা মামলার বাদী শান্তু মিয়ার প্রতিবেশি আত্মীয়স্বজন বলে জানা যায় ।

মনকান্দা গ্রামের অনেকেই চারটি বসত বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনার জন্য ৫ নং গন্ডা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আলী উসমানের হাত আছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ।

মেম্বার আলী উসমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান , হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা সত্য । আর আজিজুলের দাদিকে বাড়িতে না থাকার বিষয়টি তাঁর নিরাপত্তার কথা ভেবেই করা হয়েছে । তবে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই ।

মামলার বাদী শান্তু মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি পুত্র হত্যার শোকে কাতর । আমার লোকজন আসামী পক্ষের লোকদের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা ।

৫নং গন্ড ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আকন্দ কল্যাণ বলেন, একটি হত্যা ঘটনার পর মামলা হয়েছে ।এখনও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি । এখন আসামী আজিজুল ও তার প্রতিবেশিদের বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর ও গরুবাচুর, আসবাপত্র লুটপাটের ঘটনা খুবই ন্যাক্কার জনক । আমি ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই ।

কেন্দুয়া থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রোখন উদ্দিনকে ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করেছে ওই গ্রামের পূর্ব পাড়ার লোকজন । লিখিত অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে