টানা শৈত্যপ্রবাহে কুড়িগ্রামের চিলমারীর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছেন না। সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। দু’ বেলা কাজ না করলে অন্ন জোটে না এমন মানুষরা শীতের প্রকোপে কাবু হয়ে গেছেন।
কুড়িগ্রাম রাজার হাট আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, মঙ্গলবার ২ জানুয়ারি সকাল ৬ টায় জেলায় সর্বনিম্ন ১৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দিনের বেলা তাপমাত্রার চেয়েও রাতে তাপমাত্রা আরো কমবে।
উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ এলাকার মোঃ আমির হোসেন বলেন, সারারাত কনকনে, ঠান্ডা দিনের বেলাতেও একই অবস্থা থাকছে। এমন অবস্থায় আমার মত হোটেলে খেটে খাওয়া মানুষজনের কষ্টের শেষ নেই। কাজ না করে ঘরে বসে থাকলে তো পেটে ভাত জুঠবে না। তাই কাজে যাচ্ছি।
একই ইউনিয়নের নৌবন্দর এলাকার আজিজুল হক বলেন, দুই দিন ধরে খ্বু ঠান্ডা পড়তেছে। সকালে উঠে জমিতে কাজে যেতে হয়। কাজ করতে গিয়ে হাত পা বরফের মত ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
থানাহাট ইউনিয়নের বালবাড়ী হাট এলাকার রিকশা চালক আজাদুল ইসলাম বলেন, আজ খ্বু ঠান্ডা পড়েছে। রিস্কা নিয়ে বের হতে পারছিনা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, এভাবে ঠান্ডা থাকলে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকবে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বলেন, জেলায় মঙ্গলবার সর্বনিম্ন ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রাতে তাপমাত্রা আরো কমতে থাকবে । তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী এ মাসে একটি শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
যাযাদি/ এস