কুমিল্লা নগরীর চাঁনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের একটি কক্ষে অগ্নিসংযোগ ও নগরীর বেশ কয়েকটি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তারা ছাত্রদলের নেতাকর্মী। শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান। এসময় কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানসহ পুলিশের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- আদর্শ সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলার ডুমুরিয়া চাঁনপুর এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে নাজমুল হাসান কাউছার (২৮), চাঁনপুর এলাকার আবদুল জলিলের ছেলে শাকিল ওরফে সাক্কু (২৫) ও মোবারক হোসেনের ছেলে সাইমন (২২)।
পুলিশ সুপার জানান, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুমিল্লা নগরীর রানীর বাজার-রামমালা সড়কের বিসিক মোড় এলাকার চেম্বার অব কমার্স এÐ ইন্ডাস্ট্রিজের অফিসের সামনে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা মোটর সাইকেলযোগে এসে ৩টি ককটেল চার্জ করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এসময় বিকট আওয়াজে ২টি ককটেল বিস্ফোরিত হয় এবং একটি অবিস্ফোরিত থাকে। এসময় পুলিশের ধাওয়ায় দুষ্কৃতকারীরা তাদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি ফেলে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি নম্বরবিহীন মোটরসাইকেল ও ১টি ককটেল জব্দ করে। পরে মোটর সাইকেলের সূত্র ধরে অভিযান পরিচালনা করে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেয়ফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আরো জানান, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহাম্মেদ ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নোমানের নেতৃত্বে আসামি কাউছার তার মোটর সাইকেলযোগে চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের অফিসের সামনে গিয়ে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। পরে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কাউছার ও তার অপর সহযোগী শাকিল ওরফে সাক্কু ও সাইমন চাঁনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি কক্ষে আগুন লাগিয়ে আগুনের ভিডিও ধারণ করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহাম্মেদের মোবাইলে পাঠায়। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
যাযাদি/ এম