শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ফরিদপুর-৪ আসন

যে কারনে বারবার হারতে হয় কাজী জাফর উল্যাহকে

ফরিদপুর প্রতিনিধি
  ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০১
যে কারনে বারবার হারতে হয় কাজী জাফর উল্যাহকে

সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আবারও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে ভোট যুদ্ধে হারতে হয়েছে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহকে।

তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন ।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) তিনটি উপজেলা নিয়ে এ আসনটি গঠিত। এই আসনটি ফরিদপুরের সাবেক সংসদীয় আসন ৪ ও ৫ কে ভেঙ্গে একটি করা হয়েছে। আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে থাকলেও গত তিনটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে প্রার্থীকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়ী হয়েছেন ।

পরিসংখ্যান বলছে, কাজী জাফর উল্যাহ নৌকা প্রতীক পেয়েছেন পরপর তিনবার। আর এই তিনবাই তাকে পরাজিত করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী। তিনি গত ২০১৪ সালে নিক্সন চৌধুরী ২৬ হাজার ৫২ ভোটের ব্যবধানে, ২০১৮ সালে ৪৫ হাজার ৯৪৫ ভোটের ব্যবধানে এবং সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩ হাজার ৯৬৯ ভোটের ব্যবধানে কাজী জাফর উল্যাহকে পরাজিত করেন।

দলের প্রবীন এই প্রেসিডিয়াম সদস্যের পরাজয়ের কারণ হিসাবে জেলা বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ দেখছেন নানা ভাবে। কেউ বলছেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত হওয়া, আওয়ামী লীগ বিরোধী ভোট নিক্সনের পক্ষে যাওয়া, তরুনদের নিক্সন প্রিতী, নির্বাচন পরিচালনা কৌশলে নিক্সনের এগিয়ে থাকাসহ নানান কারন দেখছেন অনেকেই। তবে কাজী জাফর উল্যাহ নেতাকর্মীরা দাবি করছেন অর্থের কাছে পরাজয় হয়েছে আমাদের।

ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন। যিনি এমপি নিক্সনের ঘনিষ্ঠ জন হিসাবে পরিচিত । এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিক্সন চৌধুরী এলাকার মানুষের সুখে দু:খে সব সময় পাশে থাকেন বলেই, ভোটারদের ভালোবাসায় জিতে হ্যাটট্রিক করেছেন নিক্সন চৌধুরী। নিক্সনকে এলাকার সব শ্রেনীর মানুষ পছন্দ করে তাদের নিজের লোক মনে করেন। এ জন্য ভোটের মাধ্যমে জনগণ তাঁদের আস্থা ও ভালোবাসার পরিচয় দিয়েছেন।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে