বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উপজেলা কৃষি দপ্তরের অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তাসহ ৩৯ টি পদ শূন্য। ফলে মাঠপর্যায়ে পরামর্শ ও সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ১জন অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তার পদ থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে তা শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য শূন্য পদগুলির মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ২ জন,সহকারী কৃষি সম্প্রসারণকর্মকর্তা ১ জন, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ১ জন,উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ৩২ জন, উচ্চ মান কাম হিসাব রক্ষন ১ জন,স্প্রেয়ার মেকানিক ১জন মোট ৩৯ টি পদ দীর্ঘদিন যাবৎ শূণ্য থাকায়
যার কারণে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া, বিনামূল্যে বীজ-সার বিতরণ ও তদারকি, পোকামাকড় দমনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।
১৬ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে এ বিশাল উপজেলায় ৫১ হাজার ১৯৮টি কৃষক পরিবার রয়েছে।আবাদি জমির পরিমাণ ২৮ হাজার ৫১০ হেক্টর। ভূমি ব্যবস্থাপনা, বীজ, সার, কীটনাশক, ফসলের রোগবালাই, পোকা-মাকড়, ইঁদুর নিধনসহ উন্নত ফলনশীল জাতের উৎপাদনে কৃষকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
সরকার তৃণমূল পর্যায়ে কৃষিখাতকে শক্তিশালী করতে কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা ও সুযোগ-সুবিধা দিলেও জনবল সংকটের কারণে তা বাস্তবায়ন করতে কৃষিবিভাগকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। চরম জনবল সংকটের কারণে এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠানটির সুফল ভোগ করতে পারছে না উপজেলার কৃষক পরিবারগুলো।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকেরা বলেন, ‘আমরা আউশ, আমন ও শীতকালীন সবজিতে বিভিন্ন সমস্যা হলে ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সময়মত পাই না। একটি ইউনিয়নে ৩ জন কর্মকর্তা থাকার কথা, সেখানে আছেন মাত্র ১ জন। এতে অনেক বিভ্রান্তিতে পড়তে হয় কৃষকদের।
বহরবুনিয়া ইউনিয়নের কৃষক হেমায়েত গাজী বলেন, জমিতে পোকামাকড়ের আক্রমণ বা পঁচা রোগ হলে সঠিক সময়ে কখনো কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ পাইনি। জমিতে কখন কোন সার বা কীটনাশক দিতে হয় তা স্থানীয় কৃষি দোকানিদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হয়। ফলে পড়লে হয় নানা ভোগান্তিতে। সঠিক পরামর্শের অভাবে কাঙ্খিত ফসল উৎপাদন করতে পারি না।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকাশ বৈরাগী জানান, জনবল সংকটের কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে,আশা করি দ্রুত জনবল সংকটের সমাধান হবে।
যাযাদি/ এম