সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সভার তারিখকে কেন্দ্র করে আহত ব্যক্তি নিহত হওয়ার পর থানা পুলিশের অভিযানে ৩জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামীদের সোমবার (২৯জানুয়ারী) সুনামগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

থানা পুলিশ জানায়, নোয়াগাঁও গ্রামের বার্ষিক সভা নিয়ে সংর্ঘষে আহতদের মধ্যে একজন নিহত হওয়ার পর মৃত শাহ আসমত উল্লাহের ছেলে শাহ মো. জামান উল্লাহ মুক্তার বাদি হয়ে এই মারামারির সাথে যুক্ত ৪২জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

অভিযোগ হওয়ার থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে মৃত রইছ উল্লাহের ছেলে বাদশা মিয়া (৫৫), বাদশা মিয়ার ছেলে শাকিব মিয়া(২০), তোতা মিয়ার ছেলে অপু মিয়া (২০)কে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনজার্চ মো. আমিনুল ইসলাম জানান, সভার তারিখকে কেন্দ্র করে আহত ব্যক্তি নিহত হওয়ার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে। আমাদের থানা পুলিশের অভিযানে ৩জন আসামীকে গ্রেফতার করে সুনামগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

রাজশাহীতে আগুনে পুড়ল শত বিঘা জমির পান বরজ

উল্লেখ্য যে, নোয়াগাঁও গ্রামের বার্ষিক সভা নিয়ে আলোচনার মধ্যে এক পর্যায়ে তারিখ নির্ধারন নিয়ে মসজিদের মুতায়াল্লি হান্নান মিয়া ও গ্রামের মুরুব্বি মুক্তার মিয়া মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়েছিল। পরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গ্রামের খেলার মাঠে প্রায় ঘন্টা ব্যাপী সংর্ঘষে উভয় পক্ষের প্রায় ২০জন আহত হয়। এর মধ্যে আহত মৃত ডুমাই উল্লাহের ছেলে ছমির মিয়া (৭০) সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান।

যাযাদি/ এম