ফেনী পরশুরামে প্রবাসী ভাগিনার বৌকে ধর্ষণের ঘটনায় মামা শ্বশুর মো. সরোয়ার (৪৫)কে ৬ মাস পর বরিশাল থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার(২০) ফেব্রুয়ারি সরোয়ারকে আদালতে সপোর্দ করা হয়েছে। সে উপজেলার পশ্চিম অলাকা গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। আপন ভাগিনাকে বৌকে ধর্ষণ করার ঘটনায় মামলা হওয়ার পর থেকে সে পলাতক ছিলেন। সরোয়ার চিথলিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত হওয়ায় উপজেলা শ্রমিকলীগ তাকে দল থেকে বহিস্কার করেন।

পরশুরাম থানার পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার বরিশাল শহরের একটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

এর আগে গত বছরের ১৭ আগষ্ট মো. সরোয়ার হোসেন তাঁর বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে একটি কক্ষে শুয়ে পরে। এই সময় সরোয়ারের বড় বোন পাশের বাড়িতে যান। ভাগিনা বৌ একমাস বয়সী সন্তানকে নিয়ে শোভার ঘরের গেলে সরোয়ার ভাগিনা বৌকে জোর পুর্বক ধর্ষণ করেন।

কাঠপট্টিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, কোটি টাকার ক্ষতি 

তাঁর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে মামা শ্বশুর সরোয়ার দ্রুত ঘটনাস্থল পালিয়ে যায়। ওই দিন রাতে সরোয়ারের ভাগিনা বৌ মুন্নি আক্তার (১৮) মামা শ্বশুর মো.সরোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে মো.সরোয়ার পলাতক ছিলেন।সরোয়ারের ভাগিনা ঘটনার সময় সৌদি থাকলেও বর্তমানে দেশে অবস্থান করছেন।

পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সরোয়ারকে গ্রেফতার করতে একাধিক স্থানে অভিযান চালালেও পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ ছয়মাস পর বরিশাল নগরির একটি বাসা থেকে পরশুরাম থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম তাকে গ্রেফতার করে।

পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহাদাত হোসাইন খান বলেন, ঘটনার পর পরই সরোয়ার বরিশালে আত্বগোপনে চলে যায়। সেখানে সে দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে বসবাস শুরু করেন। প্রযুক্তির সহায়তায় সরোয়ারের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বরিশাল থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। মঙ্গলবার তাকে আদালতে সপোর্দ করা হয়েছে।

যাযাদি/ এসএম