মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় পরকীয়ার জেরে শারমিন আক্তার (৩০) নামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রæয়ারি) দুপুরের দিকে উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের ধোতরা এলাকার কৃষি ইনস্টিউটিটের পশ্চিম পাশ থেকে পুলিশ তার লাশটি উদ্ধার করেছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। পরে পুলিশ লাশটির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত শারমিন আক্তার উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের বরুন্ডি এলাকা মানু সিকদারের কন্যা ও তিন সন্তানের জননী ছিলেন।

নিহতের পিতা মানু সিকদার জানায়, ১৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে আমার মেয়ের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গার জীবন নগর উপজেলার হাসাদা গ্রামের তহিরুদ্দিনের ছেলে মনোয়ার হোসেনের বিবাহ হয়। তাদের ঘরে তিন সন্তান রয়েছে এবং তাদের সংসার ভালভাবেই চলছিল।

প্রাক্তন স্বামী মনোয়ার জানান, আমাদের বিয়ে হয়েছে প্রায় ১৫ বছর। আমাদের সংসারে তেমন কোনো অশান্তি ছিল না। কিন্তু আমার স্ত্রী ৫ বছর আগে ঢাকার ধামরাই উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়াখোলা গ্রামের আব্দুল রাজ্জাক মুন্সির ছেলে রতনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং তারা পালিয়েও গিয়েছিল। তারপরও আমি পরিবারের কথা চিন্তা করে সেটা মেনে নিয়েছিলাম। এরপর গত ২২ জানুয়ারি আমার স্ত্রী শারমিন আবার রতনের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। আর ২৫ জানুয়ারি আমাকে একটি তালাক নামা পাঠায়। পরিবারের কথা চিন্তা করে শারমিনকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় এবং শনিবার (২৪ ফেব্রæয়ারি) আমাদের পুনরায় বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই দুপুরে সে খুন হল।

গাজীপুরে মাঠে খেলতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যু

নিহতের পিতা মানু সিকদার বলেন, শনিবার (২৪ ফেব্রæয়ারি) প্রাক্তন স্বামীর সাথে পুনরায় আমার মেয়ের বিয়ের কথা ছিল। এর আগেই দুপুরের দিকে দ্বিতীয় স্বামী রতন আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর খবর লোকজনের মুখে শোনলাম আমার মেয়ে খুন হয়েছে।

সাটুরিয়া থানার ওসি সফিকুল মোল্যা বলেন, পরকীয়ার জেরে এ নৃশংস হত্যা কান্ডটি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে প্রাক্তন স্বামী মনোয়ার হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ হবে। এই ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

যাযাদি/এসএস